চট্টগ্রাম, ২৭ মার্চ,২০২২:
সবুজে ঘেরা সিআরবি হেরিটেজ এলাকা হিসেবে গেজেটভুক্ত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সিআরবিকে আমাদের রক্ষা করতেই হবে। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমরা সিআরবিকে রক্ষা করব। এখানে কোনো স্থাপনা করতে দেওয়া হবে না।
রবিবার বিকালে সিআরবি এলাকায় নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের ব্যানারে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, সামনে সংসদ বসলে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিআরবির বিষয়ে আলাপ করব। প্রধানমন্ত্রী সৃজনশীল এবং তিনি বাস্তব অবস্থা বোঝেন। আমার মনে হয় তিনি এটা শুনবেন। সিআরবিকে রক্ষা করতে হবে। চট্টগ্রামবাসীকে সিআরবি রক্ষায় শপথ নিতে হবে। সিআরবিকে হেরিটেজ হিসেবে রক্ষা করব। এখানে কোনো স্থাপনা করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমরা কেউ এখানে হাসপাতালের বিরোধিতা করছি না। হাসপাতাল হোক তবে তা এ জায়গায় নয়। এভারকেয়ার হাসপাতাল হয়েছে নগরের বাইরে। ওখানে রোগীরা যাচ্ছে। তাই এখানে হাসপাতাল নয়। এই জায়গায় যদি হাসপাতাল হয়, তাহলে আমাদের রক্তের উপরে এটা হতে হবে। আমরা এক বিন্দুও ছাড় দেব না। চট্টগ্রামের মূল শহরের বাইরে অনেক হাসপাতাল হয়েছে। গাছপালার মধ্যে কেন হাসপাতাল করতে হবে? এখানে পাখির বাসা হবে। আজকে আমি বলতে চাই, সিআরবিতে পাখির কিচির-মিচির শুনতে চাই। আমি আপনাদের সঙ্গে একাত্ম ঘোষণা করতে এসেছি। বলতে চাই এই হেরিটেজ আমাদের রক্ষা করতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের এই সদস্য বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল করতে দেওয়া হবে না। সিআরবিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের নামে জাতীয় উদ্যান ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।
সিআরবির সমাবেশে বক্তব্যকালে বিএনপির সমালোচনা করে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশ করছে এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা চট্টলবাসী রুখে দাঁড়াব। বিএনপি রেডিও স্টেশনে যাবে ঘোষণা দিয়েছিল। তারা বলেছে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কখন ঘোষণা দিয়েছিলেন? তিনি ২৮ মার্চ ঘোষণা দিয়েছেন। আসল সত্য হলো, ২৫ তারিখ বঙ্গবন্ধু ওয়ারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এরপর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এম এ হান্নান।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক সমাজের কো-চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, স্থপতি জেরিনা হোসেন প্রমুখ।
Discussion about this post