চট্টগ্রাম, ০৮ জুন, ২০২২:
অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে ধ্বংসপ্রাপ্ত সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি পুলিশ। অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় এ টার্মিনালের আটজনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার রাতে। এছাড়া আজ বুধবার দুপুর সাড়ে বারটার দিকে সিআইডি পুলিশের একটি টিম আলামত সংগ্রহের জন্য গিয়েছেন। আলামত সংগ্রহ শেষে ২টার পর বের হয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম মেট্রোর সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। একই সাথে কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। এগুলো পরীক্ষা করার পর বুঝতে পারব। এজন্য আলামতগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। আলামত পরীক্ষার আগে আর কিছু বলতে চাননি তিনি।
সীতাকুণ্ড থানার এসআই আশরাফ সিদ্দিকী সংবাদ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডিপোতে অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। জানা গেছে, মামলায় ডিপোর ৮ জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেককে আসামি করা হলেও ডিপোর মালিকের নাম অভিযোগে নেই।
এদিকে বিএম ডিপোর উদ্ধার কার্যক্রম ও অগ্নি নির্বাপন পরবর্তিতে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করছে প্রায় দুই শতাধিক সেনা সদস্য।
সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল আরিফুল ইসলাম বলেন, নতুন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আমরা ডিপো কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিসের সাথে একসাথে কাজ করছি। । অক্ষত কন্টেইনারগুলো সরানো হয়েছে। রাসায়নিকের কন্টেইনারগুলো সনাক্ত করে পৃথক করা হয়েছে। তবে বিস্ফোরণের কারণে যেসব কন্টেইনারগুলোর সনাক্তকরণ লেবেল উঠে গেছে সেগুলো আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি যাতে সেগুলো থেকে কোনো বিস্ফোরণের ঘটনা না ঘটে।
তবে তারা আশা করছে সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে ঝুঁকির সম্ভাবনা কমে গেছে।
তিনি বলেন, ডিপোতে আগুন দেখা না গেলেও কন্টেইনার থেকে কাপড়ের কন্টেইনারগুলো থেকে এখনো ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। সেখানে পানি ছিটানো হচ্ছে।
সেনাবাহিনী জানায়, আজ দুপুর পর্যন্ত নতুন কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। তবে যেসব জায়গা পরিষ্কার করা যায়নি সেসব জায়গায় মরদেহ থাকতে পারে। সেটা ড্যামেজ কন্টেইনারগুলো না সরালে আপাতত কিছু বলা যাবে না।