চট্টগ্রাম, ৭ জুলাই, ২০২২:
চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর বাজার জমে উঠেছে। নগরীর সাগরিকা বাজার সহ অন্যান্য অস্থায়ী বাজারে গরু আসছে। এছাড়া বাজারে গরুর পাশাপাশি ছাগল ভেড়া বিক্রির জন্য আনা হচ্ছে।
প্রতিবছর ঈদের আগের ১০ দিন নগরীতে অস্থায়ী পশুর হাটগুলো বসে। হাটে নগর ও এর আশপাশের উপজেলার লোকজনও পছন্দের গরু-ছাগল কিনতে আসেন। এতে চট্টগ্রামের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেপারীরা গরু-ছাগল নিয়ে আসেন। বিশেষ করে, নাটোর, পাবনা, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী এসব এলাকা থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কোরবানির পশু নিয়ে বেপারীরা চট্টগ্রামে আসেন। স্থানীয় উৎপাদন ঘাটতি থাকায় অন্যান্য জেলার পশু দিয়ে সে ঘাটতি পূরণ করা হয়।
চট্টগ্রামে এবার স্থানীয়ভাবে হৃষ্টপুষ্ট করা পশু মজুদ আছে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫০১টি। এর বিপরীতে চট্টগ্রামে এবার পশুর চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ২১ হাজার। চাহিদার বিপরীতে ২৯ হাজার ৪৯৯টি পশুর ঘাটতি আছে চট্টগ্রামে। ঘাটতি পশুগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পূরণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র।
তবে চট্টগ্রাম নগরীতে নির্ধারিত বাজার ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী বাজার বসানোর অভিযোগও রয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব ঘাটতির আমঙ্কা করা হচ্ছে।
অস্থায়ী ও অবৈধ বাজার বসানোর দায়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে গত সোমবার নগরীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। চসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী পরিচালিত অভিযানে পাহাড়তলী ঝাউতলা বাজার সংলগ্ন মাঠে অবৈধ পশুরহাট, বায়েজিদ বোস্তামী রোডের এশিয়ান এগ্রো, চৌধুরী রেঞ্জ ও ইউনি ক্যাম্প নামক প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে কোরবানির পশুর হাট বসানোর অপরাধে ৪ প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পূর্বক ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। তাদের নিকটবর্তী হাটে কোরবানির পশু নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। ছবি: সংগ্রহ