চট্টগ্রাম,১২ জুলাই, ২০২২:
পবিত্র ঈদুল আযহার দিন বিকেল থেকে শুরু হয়েছে নগরীর পর্যটন স্পটগুলোতে ঘুরে বেড়ানো। দলে দলে লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে কাজীর দেউড়ি শিশু পার্ক, চান্দগাঁও স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদ পার্ক, ফয়স লেক চিড়িয়াখানা ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সহ সর্বত্র। তবে এর মধ্যে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ভ্রমণকারী মানুষের ব্যাপক ভিড় ছিল। সৈকতের বেড়িবাঁধের পাড়ে ৩/৪ কি.মিটার জুড়ে ভ্রমণকারীদের ভিড়। বিশাল সৈকত জুড়ে হাজার হাজার মানুষ আনন্দে মেতে উঠেছে ।
শিশু থেকে সব বয়সের মানুষ ঘুরছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। শুধু চট্টগ্রাম নয় নগরী ও জেলার বাইর থেকে এসেছে ভ্রমণকারীরা। ঢাকা, ময়মনসিংহ সহ সব এলাকার ভ্রমণকারী ঘুরে বেড়াচ্ছে ঈদের আনন্দকে সাথে নিয়ে।
অনেকে বারবিকিউ পার্টির আয়োজন করেছে সপরিবারে।অনেকে বোট নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ে( যদিও এভাবে সাগরের ঢেউয়ে ঘোরাঘুরি বিপদজনক )।
সৈকতের বেড়িবাঁধে আছে শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের গেইমস। অনেকে ঘোরাঘুরে শেষে আবার রাইডে এসে চড়ে আনন্দ করছে।
ভ্রমণকারী মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থাকায় সব মানুষের ঘোরাঘুরির একটা পর্যটন স্পট হয়েছে। এটা যেমন বড় তেমনি সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। এতে পর্যটক অনেক বেড়েছে। কোনো খরচও নেই। টিকেট কাটতে হয় না।
আজ থেকে সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের অফিস আদালত খোলা দিন। এরপরও বিকাল হতে হতে বাড়তে থাকে পতেঙ্গা সৈকতে ভ্রমণকারীদের ভিড়।
অন্যদিকে এই ভ্রমণে সেখানকার ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের আয় রোজগার হচ্ছে ভালো। কারণ ভ্রমণের ফাঁকে ফাঁকে ভ্রমণকারীরা দোকানগুলোতে ঠাণ্ডা-গরম কিছু খেতে।
পর্যটকরা বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত যেন আবার কোনো বাণিজ্যিক কোম্পানির খপ্পরে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।ভ্রমণকারীদেরও সচেতন এবং সজাগ থাকতে হবে।
ঈদের তিন দিনের মধ্যে আজকে সেখানে সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাবেশ ঘটেছে বলে জানান পতেঙ্গায় ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ হাসান।
তিনি বলেন, ঈদের আজ তৃতীয় দিন। তিন দিনই আমরা দায়িত্ব পালন করছি। তবে আজ মঙ্গলবার ভ্রমণকারী ছিল সবচেয়ে বেশি। ভ্রমণকারীরা আসছে এবং যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এখানে পুলিশের দায়িত্ব সকাল আটটা থেকে রাত দশটা। ট্যুরিস্ট শূন্য হলেই কেবল আমাদের ডিউটি শেষ। তবে রাত আটটার মধ্যে আমরা বিচে ঘোরাঘুরি সমাপ্ত করার চেষ্টা করি।