চট্টগ্রাম, ১৮ অক্টোবর, ২০২২:
পৃথিবীত বন্যপ্রাণির দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউডব্লিউএফ ( ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড)। এসব প্রাণির মধ্যে স্তন্যপায়ী প্রাণি, পাখি, উভচর, সরীসৃপ এবং মাছও রয়েছে। ১৯৭০ সাল থেকে বণ্য প্রাণীর উপর জরিপ করে তারা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ডব্লিউডব্লিউএফ এর তত্ত্বাবধানে দ্যা লিভিং প্ল্যানেট ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতি দুই বছর পর পর প্রকাশিত রিপোর্টে বিশ্বজুড়ে ৫০০০-এরও বেশি প্রজাতির ৩২,০০০ প্রাণি সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কথা বলেছে। অর্থাৎ ১৯৭০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিশ্বের বন্যপ্রাণী সংখ্যা গড়ে ৬৯% হ্রাস পেয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য মানবিক কার্যকলাপের ফলে প্রাণিদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এভাবে প্রাণির হ্রাস পাওয়াকে বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত বলা হচ্ছে।
বিশেষ করে গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনে, যেখানে বিশ্বের গাছপালা এবং প্রাণির নানা বৈচিত্র্য রয়েছে এরকম ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বনে ৯৪℅ প্রাণি হ্রাস পেয়েছে। আফ্রিকায় হ্রাস পেয়েছে ৬৬℅। যেখানে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৫৫℅ হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে উত্তর আমেরিকাযর নিরীক্ষীয় বনাঞ্চলে ২০℅ এবং এশিয়ার বনাঞ্চলে ১৮℅ হ্রাস পেয়েছে।
বিশুদ্ধ পানির উপর নির্ভরশীল প্রজাতির প্রাচুর্যের ৮৩% হ্রাস পেয়েছে। মানুষের মাছ ধরার চাপ ১৮ গুণ বৃদ্ধির কারণে গত অর্ধ শতাব্দীতে হাঙ্গর এবং রে( ray) ফিশ ৭১℅ কমে গেছে।
প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস এবং কৃষি সম্প্রসারণের কারণে জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন আগামী দশকগুলিতে জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলে তারা সতর্ক করেছে। গবেষকগণ বলেছেন তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১০০০ এর বেশি প্রজাতির প্রাণি বিলুপ্তির কারণ হতে পারে।
আট বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় এক গরমের দিনে ৪৫০০টির বেশি উড়ন্ত শিয়াল(বাদুড়) মারা পড়েছিল। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং পাপুয়া নিউ গিনির মধ্যবর্তী একটি দ্বীপে বসবাসকারী একটি বিশেষ জাতের ইঁদুরকে(ব্র্যাম্বল কে মেলোমিস) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল কারণ সমুদ্রের জলস্ফীতিতে ওই ইঁদুরের খাদ্য ও বাসস্থান ডুবে গিয়েছিল। সূত্র: দি স্পোকসম্যান-রিভিউ