চট্টগ্রাম, ৩০ অক্টোবর, ২০২২:
বহু বছর পর মাঠের লড়াইয়ে নেমেছে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রথম প্রথম নাশকতা সহ নানা চেষ্টা করে রাজনীতির মাঠ দখলে নিতে পারেনি। এক পর্যায়ে ঝিমিয়ে পড়ে দলটি।
এখন সামনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতি। গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির মহা সমাবেশ দিয়ে শুরু হয় হয় তাদেও শোডাউন। এর পর একে একে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সথাসমাবেশ করতে থাকে।
বিএপির সভাসমাবেশের পাল্টা হিসাবে আওয়ামী লীগও সভা-সমাবেশের ডাক দিয়েছে। অন্যদিকে চলছে দল দুটির হাই প্রোফাইল নেতাদের পাল্টাপাল্টি চাপান উতোর।
বিএনপির পাল্টা সমাবেশ করতে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভার প্রস্তুতি চলছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জনসভার করা প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় উপস্থিত থাকবেন এমন ঘোষণার পর থেকেই ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছেন ক্ষমতাসীন দলটির চট্টগ্রামের নেতারা। এজন্য আগামী ৯নভেম্বর (বুধবার) কাজির দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে যৌথ প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিনিধি সভায় দুই জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের পূর্ণকমিটি, নগরের ৪৩ ওয়ার্ড ও ১৫ থানা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়ক, জেলার ১৯০টি ইউনিয়ন, ১২টি পৌরসভার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৫ উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগের আট অঙ্গ ও দুই সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা মিলে প্রায় আট শতাধিক নেতা উপস্থিত থাকবেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ৯নভেম্বর আমরা যৌথ প্রতিনিধি সভা করব। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা দিকনির্দেশনা থাকবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জনসভাটি স্মরণকালের বৃহত্তম সভা করতে চাইছি। এই সমাবেশকে সফল করতে প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় ওয়ার্কিং কমিটির সভা করা হবে।’
জানা গেছে, ৯ নভেম্বরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু হবে। ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিবেন। সেখানে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ও উন্নয় সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা থাকবে বলে জানা গেছে।
বিএনপি যে মাঠে জনসভা করেছে সেই মাঠেই জনসভা করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে চাইছে আওয়ামী লীগ। যে কারণে নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে প্রথম জনসভাটি সফল করতে পলোগ্রাউন্ডকেই বেছে নেয়া হয়েছে। যেখানে ১০ লক্ষ লোকের সমাবেশ ঘটানোর টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ। যে কথা গতকাল শনিবার ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
Discussion about this post