চট্টগ্রাম,১৯ জানুয়ারি, ২০২৩:
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরঞ্জামবাহী রাশিয়ান জাহাজ স্পার্টা-৩ ওরফে উরসা মেজর শেষ পর্যন্ত কলকাতার হলদিয়া বন্দরেও প্রায় দুই সপ্তাহ অপেক্ষার পরও মালামাল খালাস করতে পারেনি। যে কারণে উরসা মেজর ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে রাশিয়ায়। শিপ ট্র্যাকিং ইন্টেলিজেন্সের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, উরসা মেজর ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে গেছে। এই তথ্য রাশিয়াও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে।
রং ও নাম পরিরর্তন করা রাশিয়ান জাহাজ স্পার্টা-৩ ২৪ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জানায় জাহাজটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় স্পার্টা -৩।
ওইদিন এক কূটনৈতিক পত্রে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়, জাহাজটিতে পণ্য ওঠানো-নামানো, জ্বালানি সরবরাহ, নাবিকদের যেকোনো ধরনের সহযোগিতায় যুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট দেশের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বা বড় আর্থিক দণ্ডের মুখে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।
অন্যদিকে স্পার্টা-৩ জাহাজটিকে বাংলাদেশে ভিড়তে না দেওয়ায় রাশিয়াও ঢাকার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু বাংলাদেশ রাজি না হওয়ায় জাহাজটি ভারতের কলকাতার হলদিয়া বন্দরে মালামাল খালাস করার কথা ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সাম্প্রতিক সফরই জাহাজটির ভারতেও পণ্য খালাস না করে ফিরে যাওয়ার কারণ হিসাবে সংবাদ মাধ্যমগুলো তুলে ধরেছে। ডোনাল্ড লু স্পার্টা-৩ এর উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভারতকেও জানায়। যদিও এর আগে একই জাহাজটি পণ্য নিয়ে ভারতে এসেছিল বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানায়।
উরসা মেজরের পরিবর্তে এখন অন্য জাহাজে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে রাশিয়া বাংলাদেশকে জানিয়েছে।
Discussion about this post