চট্টগ্রাম, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩:
বাংলাদেশ–ভারত নিকটবর্তী এবং দায়িত্বশীল প্রতিবেশী বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে ৭৪তম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।ভূমিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ–ভারত নিকটবর্তী প্রতিবেশী এবং দায়িত্বশীল প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর এই অবস্থান কেউ সরাতে পারবে না। দুই দেশ ভাইয়ের মতো সম্পর্ক রক্ষা করে। যেমন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সবার আগে হাত বাড়িয়েছিল ভারত। এই কারণে আমি ভারতের জনগণ, ভারত সরকার এবং ভারতীয় যেসব সৈন্য নিহত হয়েছেন তাদেরকে স্মরণ করছি এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
১৯৭১ এর পর থেকে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ধাপে ধাপে এগিয়ে গেছে। শুধু ব্যবসা, সংস্কৃতি, শিক্ষা বা চিকিৎসাখাতে নয় দুই দেশের সম্পর্ক মানুষে মানুষে, আত্মায় আত্মায়। করোনাকালে ভ্যাকসিন দিয়ে ভারত প্রথম আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এই জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির কাছে কৃতজ্ঞ।
এর আগে ভারতীয় দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি উদোত ঝা এর তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভুমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী,এমপি সহ অতিথিবর্গ প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।
রাশেদ হাসানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানের শুরুতে চট্টগ্রামে নিয়োজিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ড. রাজিব রঞ্জন ও সুস্মিতা রঞ্জন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে বরণ করে নেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, আজকে ভারত–বাংলাদেশের দ্বি–পাক্ষিক সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমাদের কাছে প্রতিবেশী প্রথমে। প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে।
সহকারী হাই কমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতের সেনাবাহিনী একসঙ্গে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধন তৈরি করে গেছেন। আজকে আমাদের বন্ধন শুধুমাত্র ট্রেড, কর্মাস, সিকিউরিটি এবং বর্ডার ম্যানেজমেন্টের মতো ট্রেডিশনাল ক্ষেত্রসমূহে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের বন্ধন এখন কৌশলগত সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম এমপি, শিরিণ আখতার এমপি, আশিকুল্লাহ রফিক এমপি, খদিজাতুল আনোয়ার সনি, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান প্রমুখ।
সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন, শ্রীমতী সুস্মিতা রঞ্জনের উপস্থিতিতে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির এক উদাহরণ তৈরি করে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের চট্টগ্রামের আয়োজন।
বক্তব্য শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে ওড়িশি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার ও কালারসোফি ডান্স সেন্টার, সঞ্চারি নৃত্যকলা একাডেমি, সঙ্গীত পরিবেশন করেন অপু দে।
Discussion about this post