চট্টগ্রাম, ৩ ফেব্রুয়ারি,২০২৩:
বিএনপি মহাসচিবকে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে মন্তব্য করার আগে পড়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পাঠ্যপুস্তক নিয়ে ক্রমাগত বিভ্রান্তি ছড়ানো কোনোভাবেই সমীচীন নয়। যারা কোচিং করান এবং নোটবই ছাপান তাদের অনেকে যেমন বিভ্রান্তি ছড়ানোতে যুক্ত হয়েছেন, মির্জা ফখরুল সাহেবও পাঠ্যপুস্তক না পড়েই প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন।’
‘পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজব রটনার মতো কেউ বিভ্রান্তি ছড়ালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে’ জানান তিনি।
শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ‘অমর একুশে বইমেলা’র সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে নির্ধারিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘পাঠ্যপুস্তক নিয়ে একটি মহল অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে’ উল্লেখ করে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১০/১১ বছর আগে পাঠ্যপুস্তকে কিছুটা ভুলভ্রান্তি ছিলো, সেগুলো তখনই সংশোধন করা হয়েছে। এখন যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, সেগুলো ১০/১১ বছর আগেরই। এবং পাঠ্যপুস্তকে যদি কোন ভুল-ত্রুটি থাকেও সেগুলো সংশোধন করার জন্য দু’টি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সেই কমিটি প্রয়োজনে আলেম-ওলামাদের সঙ্গেও বসবে। যদি কোনো ভুল-ত্রুটি চিহ্নিত হয়, তাহলে সেগুলো সংশোধন করা হবে বলে ইতিমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আসলে কোন ইস্যু নাই তো, এ জন্য এখন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে লেগেছে। কোথায়, কোন পৃষ্টায় একটু বলুক না, ভুলটা কোথায় আছে। না পড়েই তারা মতামত দেয়। সেজন্যই মির্জা ফখরুল সাহেব সেটা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা করছে। আমি তাকে পাঠ্যপুস্তকগুলো আগে পড়ার জন্য বলবো।’
এর আগে অমর একুশে গ্রন্থমেলার বইমোড়ক উন্মোচন মঞ্চে চারটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বঙ্গবন্ধুর গ্রন্থাবলম্বনে তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তা আফরোজা রিমা নাইচের কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতার আলোয় আমার দেখা নয়াচীন’ ও ‘কবিতার মায়ায় কারাভাষ্য’, কথাশিল্পী ইরানী বিশ্বাসের গবেষণা গ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু : একজন স্বামী ও পিতা’ এবং সাংবাদিক ও সংস্কৃতি সংগঠক লায়ন মুহা: মীযানুর রহমানের প্রবন্ধ সংকলন ‘সময় এখন বাংলাদেশের’ -এ চারগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, পরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, গ্রন্থকারবৃন্দ, বায়ান্ন, পূর্বা ও অর্জন প্রকাশনীর প্রকাশকত্রয়, গণমাধ্যমকর্মী ও সংস্কৃতিসেবীরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র:https://www.facebook.com/100044509181081/posts/pfbid0ALn1zAE3RZGq1ktQcR8DhY2e5M2wKoJPYXn8YuotnSwHPyrYCBEFdtBtnCvXe5YTl/?app=fbl
Discussion about this post