চট্টগ্রাম, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩:
প্রায় ১ বছর ধরে চট্টগ্রামে বেড়েছে গরু চুরি। গিরু চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত গরু লালনপালনকারীরা। ক্ষেত্র বিশেষে পাহারা বসিয়ে গরু চুরি রোধ করতে পারছেন না গরু লালনপালনকারীরা। এতে একদিকে গরু লালনপালনকারীরা যেমন আর্থি
কভাবে ব্চযাপক ক্ট্টষতিগ্গ্রারস্মত হচ্ছে, অন্যদিকে একমাত্র সম্বল হারানো অনেকের সর্বনাশ হচ্ছে। তবে এর মধ্যে পুলিশের তৎপরতাও কিছুটা বেড়েছে। কোথাও ধরা পড়ছে গরু চোর। যারা অত্যন্ত সংঘবদ্ধ। গরু চুরির সাথে স্থানীয় জনগণ থেকে শুরু করে কসাই থেকে মাংস ব্যবসায়ীরাও জড়িত।
এর মধ্যে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস.এম. শফিউল্লাহ চন্দনাইশে এ বিষয়ে বলেছেন, ১ লক্ষ টাকা চুরি হলে মানুষ যেরকম কষ্ট পায় না, গরু চুরি হলে মানুষ তার চেয়ে বেশি কষ্ট পায় এবং চোখের পানি ঝরে। গরু চুরি হলে সে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে যায়। গরু দুধ বিক্রি করে অনেকের সংসার চলে। গরুর প্রতি মানুষের মায়া ও ভালবাসা অনেক বেশি। ছোট থেকে গরু পালন করতে করতে গরুকে নিজের সন্তানের মত মনে করে। এক কথায় গরু চুরি হলে লোকটির ভালবাসা চুরি হয়ে যায়।
তিনি বলেন, গরু চুরি এখন অনেক স্টাইলে হচ্ছে। আগে এক সময় গরু হাঁটিয়ে নিয়ে যেত, এখন গাড়িতে করে নিয়ে যায়। গরু চোরদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। রাতে গরু চুরি করে সকালের মধ্যে জবাই করে সাপ্লাই করা হয় ২/৩ ঘন্টার মধ্যে। আর বিক্রি হয় কম টাকায়। গরু চোরদের সাথে এলাকার ২/১ জন মিলে বাইরের লোকের সাথে গরু চুরি করে।
তিনি বলেন, যেকোন মূল্যে গরু চুরি রোধ করতে হবে।
‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চন্দনাইশ বরকলে বিট পুলিশিং সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বরকল স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে চেয়ারম্যান আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।
বক্তব্য রাখেন চন্দনাইশ পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলী হিরু, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) কামরুল ইসলাম প্রমুখ।