চট্টগ্রাম, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩:
রমজান মাসে নিত্যপণ্য ও ভোগ্য পণ্যের দামের কি অবস্থা হবে, কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা নিয়ে এখন থেকে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে হিসাবনিকাশ শুরু হয়েছে। সরকারি তরফেও পণ্যমূল্য ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে। তবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলেছে, রমজানে নিত্যপণ্যের ত্রিশ শতাংশ দাম বাড়তে পারে। সেটা ডলারের এক্সচেঞ্জ রেটের কারণেই। যদিও পণ্য সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই বলে তারা বলছেন। এদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর রমজানের পণ্যের এখনো ঘাটতি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি প্রায় দেড় মাস আগে বলেছিলেন,এবার রমজান মাসে পণ্যের দাম নাগালের বাইরে যাবে না।কারণ দেশে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। সরবরাহেও কোনো ঘাটতি নেই। তাই আসন্ন রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কিন্তু রোজার শুরুতে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে আমদানিকারক ও উৎপাদককে তাদের পণ্যের সরবরাহ ও বিতরণের দৈনিক তথ্য প্রশাসনকে প্রদান করতে হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেছেন, নিত্যপণ্য নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীকে কোন প্রকার কারসাজি করতে দেয়া হবে না।
এজন্য জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটরা মাঠ পর্যায়ে বাজার তদারকিতে কাজ করবেন। ক্যাব, চট্টগ্রামের সাথে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি এক মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। তবে রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণে ক্যাবের অনেকগুলো প্রস্তাবনা রয়েছে। সেগুলো হল-রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় নিত্যপণ্যের বাজার তদারকিতে ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব প্রদান, একটি হটলাইন চালু, মোবাইল কোর্টে নির্বাহী ম্যাসিজস্ট্রেটদের সময়কাল বাড়ানো, অবৈধ পানি, ঘি, বেকারি, মুড়ির ফ্যাক্টরিগুলোতে অভিযান জোরদার করা, পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রয় রশিদ প্রদান ও দর যাচাই করা, কাপড়ের দোকানে মূল্য তালিকা লাগানো, ওজনে কম দেয়া রোধে বিএসটিআই এর ভ্রাম্যমাণ স্কেল দিয়ে ওজন পরিমাপক যন্ত্রগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করা, মোবাইল কোর্টে দোকানের কর্মচারীর পরিবর্তে মালিককে শাস্তির আওতায় আনা, রমজানে বৃহৎ আমদানিকারক ও উৎপাদকদের সহযোগিতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলার উদ্যোগ নেবার সুপারিশ করেছে।
জেলা প্রশাসক সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন ও চট্টগ্রামকে ভোক্তা বান্ধব জেলায় পরিণত করতে সকলের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্টের চলমান কার্যক্রম আরও জোরদার করতে চট্টগ্রামে অনিরাপদ খাদ্যের বিপণন বন্ধ, স্বাস্থ্য সেবার ভোগান্তি ও নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের মতো ভোক্তা অধিকার লংগনের বিষয়গুলো কঠোরভাবে দমন করবেন বলে জানান সভায়।
মতবিনিময় সভায় ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ছবি : সংগ্রহ
Discussion about this post