চট্টগ্রাম, ২ মার্চ, ২০২৩:
নির্বাচনে ভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই দেশে আজ জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হল। নির্বাচন কমিশনের ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানে ভোট কেন্দ্রে ভারসাম্য আনতে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি আজ ২ মার্চ, বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে ভোটার দিবসের শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করে ভোট কেন্দ্রগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোকেই ভারসাম্য আনতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মধ্যে যদি মতপার্থক্য থাকে, সেটা নিরসন করার চেষ্টা করুন। কারণ, নির্বাচন কমিশন মুরব্বিয়ানা করতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিনীতভাবে সকল রাজনৈতিক দলকে বলবো- আপনারা যেকোনো প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।’
এদিকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন অফিস দিবসটি পালন করেছে। তাদেও সূত্রে জানা গেছে,
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিগত চার বছরে চট্টগ্রামে পৌনে ৯ লাখের বেশি ভোটার বেড়েছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রামের ১৬ আসনে সর্বশেষ হালনাগাদ ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ লাখ ১৫ হাজার ২৫৪ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫ জন। চার বছরের ব্যবধানে ভোটার বেড়েছে ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৯ জন। এ সময়ে ভোটার বৃদ্ধির হার ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এদিকে ভোটার দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে আজ সব ধরনের সেবা উন্মুক্ত ছিল। ভোটারদের মধ্যে স্মার্টকার্ড ও নতুন ভোটারদের প্লাস্টিক কার্ড বিতরণ, ভোটার হওয়া, সংশোধনসহ সব সেবাই দেয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ মে সারাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি শুরু হয়। গত ১৯ নভেম্বর শেষ হয় তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম। হালনাগাদ কার্যক্রমে চট্টগ্রামে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ জন নিবন্ধন করেন। এরমধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নতুন ভোটার তিন লাখ ১৪ হাজার ২৩৫ জন। ১৮ বছরের নিচে নিবন্ধন করেছেন দুই লাখ ৩৪ হাজার ১২১ জন। এছাড়া মারা যাওয়ার কারণে ৬০ হাজার ৭৪৮ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। স্থানান্তরিত হয়েছেন ২০ হাজার ৭১১ জন ভোটার।
আজকের আলোচনা সভায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, সারাদেশে ২০ মে ২০২২ হতে ৪টি ধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদ সম্পন্ন হয়েছে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার পূর্বে এবং ইতোপূর্বে যারা ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হননি, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মোট ৩ বছরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে, যাদের জন্ম ১ জানুযারি ২০০৫ বা তার পূর্বে, তারা ২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার পূর্বে তারা ২ জানুয়ারি ২০২৪ সালের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। এছাড়াও যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার পূর্বে তারা ২ জানুয়ারি ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে হিজড়াদের হিজড়াদেও নিবন্ধন করা হয়েছে।
আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আজ জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হয়েছে।
Discussion about this post