চট্টগ্রাম, ২৭ জুন, ২০২৩:
কোরবানির ঈদের ছুটির দিন আজ ২৭ জুন থেকে আন্তজেলা বাস সার্ভিসে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। তবে যাত্রীর চাপ বাড়লে দ্রুত যাত্রী পরিবহন করতে পারছে না বাসগুলো। যে কারণে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বাস মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, কোরবানির পশুবাহী গাড়ির কারণে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গাড়ি চলতে সমস্যা হচ্ছে। যার কারণে চট্টগ্রামমুখী বাসগুলো নগরে ফিরতে অনেক বেশি বিলম্ব হচ্ছে। এই বিলম্বের কারণে চট্টগ্রাম থেকে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের যাতায়াত সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে। স্টেশনে বাস আসতে দেরি হওয়ায় যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যাত্রীরা বাসের জন্য ২/৩ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন বলে অভিযোগ করেন।
ঈদুল আযহার আর একদিন মাত্র বাকি থাকায় স্টেশনে যাত্রীর চাপও বেড়েছে।আকে চট্টগ্রাম নগরীর থেকে আন্তঃজেলায় প্রায় হাজার খানেক বাসে যাত্রী পরিবহন করা হবে জানান বাস মালিকরা। কারণ আজ বাড়ি ফেরার আসল দিন।
নগরীর অলঙ্কার বাস স্টেশনে সোহেল নামে গাইবান্ধার এক যাত্রী বলেন, দেরিতে গেলে ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে যাবে। আনন্দ মানে সব কাজকর্ম ঘুচিয়ে আনতে হবে। পরিবার -পরিজন, স্বজন প্রতিবেশির সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ মিস হবে।
আরমান নামে নোয়াখালীর এক যাত্রী বলেন, যারা বাড়ি গিয়ে কোরবানির পশু সংগ্রহ করবেন তাদের হাতেও সময় নেই। এভাবে অনেকের অনেক কাজ।
সবমিলিয়ে ছুটির প্রথম দিন বিকালে টার্মিনালগুলোতে যাত্রীর চাপ বেড়েছে যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
পরিবহন মালিক আবুল বশর চৌধুরী জানান, নগরীর আন্তঃজেলা বাসস্টেশনগুলো থেকে আজকে চট্টগ্রাম নগর থেকে হাজার খানেক বাসে যাত্রী পরিবহন করা হবে। সবমিলে ঈদের যাত্রী সংখ্যা ৭/৮ লাখ হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আজকে যাত্রীর চাপ বেশি। যাত্রীর চাপ বাড়ায় স্টেশনে পরিবহন মালিক শ্রমিকদেরও ব্রস্ততা বেড়েছে। এটা পরিবহন মালিক-শ্রমিকদেরও বাড়তি আয় রোজগারের একটি উপলক্ষ। তাই বাস কাউন্টার, বাস তথা টার্মিনাল জুড়ে সর্বত্র মহাব্যস্ততা।
তবে কোনো কোনো বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও করেছেন যাত্রীরা। বাড়তি ভাড়া, যাতায়াত ভোগান্তি, যানজট কিছুতেই ক্লান্ত নয় যাত্রীরা। তাই যাত্রীরা নাগরিক জীবনের অন্য সব ব্যস্ততা ঝেড়ে ছুটে চলেছেন মা-বাবা, স্ত্রীপুত্র ও ভাইবোনের কাছে। উপলক্ষ ঈদুল আযহা হলেও নাড়ি কাটা ঘর-গেরস্থালী- গ্রাম যেন ডাকছে তাদের। হানিফ নামেকুমিল্লার এক যাত্রী জানান, যেতে তো চাই ঈদ উপলক্ষে। কিন্তু নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রা হচ্ছে আসল। যে কারণে দেরি হলেও তাড়াহুড়ো করে বিপদে পড়তে রাজি নয়। ছবি: সংগ্রহ( পুরনো ছবি)