চট্টগ্রাম, ১২ অক্টোবর, ২০২৩:
আগামীকাল ১৩ অক্টোবর দেশব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি। দেশের ১৫৩ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে চলচ্চিত্রটি।
আজ সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,‘মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন’ শিরোনামের বহুল প্রতীক্ষিত বায়োপিক দেখে জাতি অনেক অজানা তথ্য ও ইতিহাসের নতুন অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারবে।
ছবিটি আগামীকাল সারাদেশের সিনেমা হলগুলোতে একযোগে মুক্তি পাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সিনেমাটির সফল মুক্তির ঘোষণা করছি।’
প্রিমিয়ার শো’র আগে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং তথ্য মন্ত্রনালয়ের সনিয়ির সচিব হুমায়ুন কবীর খন্দকার ও বক্তব্য রাখেন।
এসময় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাইয়ের ফিল্ম সিটিতে শুরু হয়’ মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি নির্মাণের কাজ। ১৮ ডিসেম্বরে সিনেমাটি নির্মাণ শেষ হয়। গত বছরের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে প্রথম পোস্টার, ৩ মে দ্বিতীয় পোস্টার ও ১৯ মে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ করা হয়। চলতি বছরের ৩১ জুলাই সিনেমাটি বাংলাদেশে আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পায়।
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত বাংলা ভাষার ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের ৬০ ভাগ ও ভারতের ৪০ ভাগ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিনেমা।
বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রযোজক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এবং ভারতের ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এনএফডিসি) লিমিটেড নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছে।
ছবিটির ২৭ অক্টোবর ভারত জুড়ে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
ছবিটি এই বছরের ৩১ জুলাই উভয় দেশের সেন্সর বোর্ড থেকে একটি সেন্সরবিহীন সার্টিফিকেট পেয়েছে
সিনেমাটি সম্পর্কে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যাঁরা বঙ্গবন্ধুকে জানতে চান, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস জানতে চান, এই সিনেমা তাদের অনেক কিছু দিতে পারবে। তিন ঘণ্টা সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন, বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম ও ১৯৭৫ সালের মর্মন্তুদ ঘটনাকে যেভাবে তুলে আনা হয়েছে, সেখানেই চলচ্চিত্র পরিচালকের মুনশিয়ানা, অন্য পরিচালকের সঙ্গে পার্থক্য।
‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চরিত্রে আরিফিন শুভ, তরুণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চরিত্রে দিব্য জ্যোতি, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেনু চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা, তরুণী রেনু চরিত্রে প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, কিশোরী শেখ হাসিনা(৮ থেকে ১২ বছর)চরিত্রে ওয়ানিয়া জারিন আনভিতা,
বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফুর রহমান চরিত্রে খায়রুল আলম সবুজ (৬৫ থেকে ৯৪ বছর), বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফুর রহমান চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী (৪৫ থেকে ৬৫ বছর), বঙ্গবন্ধুর মাতা সায়েরা খাতুন চরিত্রে দিলারা জামান, বঙ্গবন্ধুর মাতা সায়েরা খাতুন (তরুণী) চরিত্রে সঙ্গীতা চৌধুরী,
এ.কে. ফজলুল হক চরিত্রে শহীদুল আলম সাচ্চু, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী চরিত্রে দীপক অন্তানি, খন্দকার মোশতাক আহমেদ চরিত্রে ফজলুর রহমান বাবু,
আবদুল হামিদ খান ভাসানী চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদ, তাজউদ্দীন আহমদ চরিত্রে রিয়াজ, আবদুল হামিদ চরিত্রে গাজী রাকায়েত, মানিক মিয়া চরিত্রে তুষার খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো চরিত্রে রজিত কাপুর, পাকিস্তানি সেনা অফিসারের ভূমিকায় শতাব্দী ওয়াদুদ, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী চরিত্রে তৌকির আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম চরিত্রে দেওয়ান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সায়েম সামাদ, কামারুজ্জামান চরিত্রে সমু চৌধুরী, মনসুর আলী চরিত্রে খলিলুর রহমান কাদেরি, মেজর জেনারেল ওসমানী চরিত্রে খন্দকার হাফিজ, জেনারেল আইয়ুব খান চরিত্রে মিশা সওদাগর, শেখ রেহানা চরিত্রে সাবিলা নূর, কিশোরী শেখ রেহানা চরিত্রে সামান্তা রহমান, শেখ কামাল চরিত্রে কামরুল হাসান
কিশোর শেখ কামাল (৮ থেকে ১২ বছর)চরিত্রে ইশরাক তূর্য, শিশু শেখ কামাল চরিত্রে তৌহিদ (৫ বছর), শেখ জামাল চরিত্রে শরীফ সিরাজ, প্রবীণ নারীর ভূমিকায় রোকেয়া প্রাচী, শামসুল হক চরিত্রে সিয়াম আহমেদ, জেলার চরিত্রে আবুল কালাম আজাদ, সুলতানা কামাল খুকী চরিত্রে নাজিবা বাশার, জেনারেল টিক্কা খান চরিত্রে জায়েদ খান, মহিউদ্দিন আহমেদ চরিত্রে আশিউল ইসলাম,জিয়াউর রহমান চরিত্রে একে আজাদ সেতু, খালেদা জিয়া চরিত্রে এলিনা শাম্মী, তোফায়েল আহমেদ চরিত্রে সাব্বির হোসেন, পুলিশ চরিত্রে হাসান দ্বীপ, পুলিশ চরিত্রে সুদীপ সারাঙ্গী।
চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত প্রযোজনা করেছেন খ্যাতনামা ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক শান্তনু মৈত্র, এবং বাংলা সংলাপ লিখেছেন বাংলাদেশের সাধনা আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, শিহাব শাহীন এবং অনম বিশ্বাস।