চট্টগ্রাম, ৬ নভেম্বর, ২০২৩
রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে গত ২৮ অক্টোবর সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশের কাছে কাকরাইল ও বিজয়নগরে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে বিএনপি পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতালের ডাক দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় বিএনপির হরতাল- অবরোধ চলছে। গত দুইদিনের অবরোধের পর আজ বিএনপি ৮ ও ৯ নভেম্বর দুই দিনের সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে।
৩০ অক্টোবর হরতালের দিন সকালে গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হন আরও অনেক নেতা-কর্মী। এই ঘটনার প্রতিবাদে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন রাজপথ, রেল পথ ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। ৩ ও ৪ নভেম্বর সাপ্তাহিক ছুটির পর ৫ ও ৬ নভেম্বর টানা দুইদিনের অবরোধের ডাক দেয় তারা। বিএনপির পাশাপাশি একই ভাবে হরতাল অবরোধ ডাক দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত ইসলামও কর্মসূচি পালন করছে।
তবে দিন যতই যাচ্ছে হরতাল – অবরোধের মধ্যে যানবাহনে আগুন দেওয়ার কারণে পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। যাত্রাবাহী যানবাহন চলাচল কমেছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন-জীবিকার উপর প্রভাব ফেলেছে হরতাল অবরোধ। ব্যাহত হচ্ছে অর্থনৈতিক কাজকর্ম। কর্মজীবী শ্রমিক মজুর শ্রেণির মানুষের আয় রোজগার কমে যাচ্ছে। হরতাল অবরোধ বাস্তবায়নে বিএনপি নেতাকর্মিদের মাঠে খুব একটা দেখা না গেলেও সড়কে যানবাহনে
আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এমনকি যাত্রীবাহি বাসের যাত্রী নামিয়ে দিয়ে আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো হচ্ছে।
হরতালের প্রথমদিন ৩০ অক্টোবর সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তারের পর এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিনসহ বহু নেতা।গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ওই দিন বিএনপির সমাবেশে বিএনপির কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে নিহত হন পুলিশ সদস্য আমিরুল হক পারভেজ। তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
অবরোধের প্রথমদিন শনিবার রাত থেকে গতকাল রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৯টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে কককেট নিক্ষেপ ও কিছু গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। : ছবি সংগৃহীত(দুষ্কৃতিকারীদের দেওয়া আগুনে পুড়ছে গাড়ি)
Discussion about this post