চট্টগ্রাম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩:
ভারত ৮ ডিসেম্বর থেকে বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধে আজ বৃহস্পতিবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
অভ্যন্তরীণ প্রাপ্যতা বাড়াতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তবে দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার অন্যান্য দেশে প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, তিনটি কারণে পেঁয়াজ রপ্তানি করার অনুমতি দিবে ভারত-
১.এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগেই রপ্তানির জন্য যেসব পেঁয়াজ লোড করা শুরু হয়েছে।
২.যেখানে শিপিং বিল জমা দেওয়া করা হয়েছে এবং পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজগুলো ইতোমধ্যে বার্থ করেছে বা পৌঁছে গেছে ও ভারতীয় বন্দরে নোঙর করেছে এবং এই বিজ্ঞপ্তির আগে তাদের রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর/বার্থিং সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের নিশ্চিতকরণের পরেই এই ধরনের জাহাজে লোড করার অনুমোদন জারি করা হবে।
৩. যেখানে এই বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজের চালান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে/যেখানে পেঁয়াজের চালান এই বিজ্ঞপ্তির আগে রপ্তানির জন্য কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে শুল্ক স্টেশনে প্রবেশের তারিখ এবং সময় স্ট্যাম্পিংয়ের যাচাইযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে।
এর আগে ২০ আগস্ট, ভারতীয় অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব বিভাগ বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যার ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি বেড়ে যায়।
পরে ভারত সরকার ২৯ অক্টোবর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য ফ্রি-অন-বোর্ড ভিত্তিতে প্রতি টন ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে। ছবি: সংগ্রহ
Discussion about this post