চট্টগ্রাম, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম নগরী। সংসদ সদস্য প্রার্থীদের পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরীর রাজপথ থেকে অলিগলি। প্রার্থীরা দলবল নিয়ে ভোট চাইতে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে।
প্রচারণার অংশ হিসাবে দেয়ালে দেয়ালে সর্বত্র প্রার্থীদের পোস্টার। পোস্টার ঝুলানো হয়েছে সড়কের উপরে, সড়কের পাশে, রেলিংয়ে, কার্নিশে, সীমানা দেয়াল, বেড়ায় বিভিন্ন জায়গায়।
চট্টগ্রাম নগরীতে তিনটি সংসদীয় আসন। এগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম- ৯, ১০ ও ১১। এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম- ৮, চট্টগ্রাম- ৫ ও চট্টগ্রাম- ৪ সংসদীয় আসনের আংশিক এলাকা চট্টগ্রাম নগরীর অন্তর্ভুক্ত। সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থি সহ চট্টগ্রাম- ৯ আসনে ৭ জন, চট্টগ্রাম-১০ আসনে ৯ জন, চট্টগ্রাম-১১ আসনে ৭ জন প্রার্থী রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সহ চট্টগ্রাম নগরীর ৩ আসনে প্রার্থী আছেন মোট ২৩ জন। এই ২৩ প্রার্থীর মধ্যে নৌকা মার্কা ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারণাই চলছে বেশি। তাদের সমর্থক ও কর্মীরা লিপলেট ও পোস্টার নিয়ে ভোটারের দ্বারে দ্বারে ভোট ও দোয়ার আর্জি জানাচ্ছেন। এছাড়া চলছে আওয়ামী লীগের বাইরে অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারণাও।
নানা রকম শোডাউন করে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন প্রত্যেকের প্রতিশ্রুতি। আর তাদের আসাযাওয়ায় পাড়ায়-মহল্লায় নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে প্রার্থীদের মধ্যে ভোট নিয়ে যে পরিমাণ উৎসাহ-উদ্দীপনা তা এখনো ফিরে আসেনি পুরোপুরি। তবে প্রার্থীরা এলাকায় ঘুরলে মানুষের আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
আবুল হোসেন নামে চকবাজারের এক ভোটার বলেন, ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে সকলে। ভোট উৎসবে এবার সকলে সামিল হবে।
কোথাও কোথাও প্রার্থীদের প্রচারণা ঘিরে কিছুটা মানুষের জটলাও বাড়ছে। ্ভএমন ড়ের মধ্যে প্রার্থীদের কর্মীসমর্থকরাই বেশি।
চট্টগ্রাম- ৯ আসনের নৌকা মার্কার সমর্থক রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটারদের উৎসাহ উদ্দীপনাও বাড়বে।
এছাড়া নগরের বহদ্দারহাট, বাকলিয়া, দুই নম্বর গেট, আগ্রাবাদ, জিইসি মোড়, ওয়াসা, ফিরিঙ্গ বাজার, নিউ মার্কেটে নির্বাচন নিয়ে কথা হয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে। তারা বলেছেন, নির্বাচন আরো দেরি আছে। পরিস্থিতি বুঝে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন কেউ কেউ।
কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে আরও কাজ করতে হবে প্রার্থীদের। সেটা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই ভোটারদের প্রত্যাশা শুধু একটাই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
উল্লেখ্য সম্প্রতি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানো যাবে।
Discussion about this post