চট্টগ্রাম,১৯ মে, ২০২৪:
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন হেভিওয়েট প্রার্থী হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এসএম রাশেদুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইউনুচ গণি চৌধুরী। নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের তিন হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে নেতাকর্মীরা ত্রি-ধারায় বিভক্ত। ভোটাররাও হয়ে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে উৎসবে মেতে উঠেছেন।জামাত-বিএনপি বিহীন নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে এই তিন প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে। পোস্টার এবং প্রতীকে ছেয়ে গেছে এলাকা সবর্ত্র। প্রার্থীরা দিন-রাত তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শুধু এলাকাবাসী নয়,
হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে শঙ্কিত। উপজেলার ১০৬টি কেন্দ্রর মধ্যে এক-তৃতীয়ংশ ভোট কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ বলেও তারা দাবি করছেন। তাদের ধারণা, নির্বাচনের দিন নিদিষ্ট কেন্দ্রে বহিরাগত সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্রসহ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে। ফলে, ভোটের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ভোটাররা তাদের ভোট দেয়ার অধিকার হারাবে। তাছাড়া কোন কোন প্রার্থীর লোকজন অন্য প্রার্থীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নানানভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বলছে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত আমার কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন না করার জন্য হুমকির পাশাপাশি পুলিশি ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে নির্বাচনী এলাকা ত্যাগের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকার বাইরের বিভিন্ন পেশাদার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীসহ নানা লোকজনকে নির্বাচনের দিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি টাকার বিনিময়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেন। বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রায় ৩২টি ভোটকেন্দ্র জোরপূর্বক দখল করার পরিকল্পনার গুঞ্জন ইতিমধ্যে হাটহাজারীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি রাশেদুল আলম ও ইউনুচ গণি চৌধুরীকে প্রভাবশালী প্রার্থী উল্লেখ করে বলেন, ফলাফল তাদের অনুকূলে নেওয়ার জন্য নানা রূপে ষড়যন্ত্র এবং প্রস্তুতিতে লিপ্ত রয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান।
Discussion about this post