চট্টগ্রাম, ৩১ অক্টোবর,২০২৫:
চট্টগ্রামের ইপিজেডের কারখানার দুটি গুদামে অগ্নিকাণ্ডের পর অগ্নিকাণ্ড কমাতে ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের শিল্পকারখানার আগুন মোকাবেলার সক্ষমতা যাচাই করতে জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা পিসিএল-কে এ তথ্য জানান।
শুধু চট্টগ্রাম ইপিজেডে নয়, অগ্নিদুর্ঘটনা সহ অন্যান্য দুর্ঘটনাও দিন দিন চট্টগ্রামে বাড়ছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে তিন হাজার পাঁচ শত পঁচাশিটি অগ্নিকাণ্ড ও এক হাজার একশ পঁয়ষট্টিটি অন্যান্য দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে অগ্নি দুর্ঘটনার বেশিরভার ঘটে বিদ্যুৎ সংযোগের ত্রুটির কারণে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বলেছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ ও দুর্ঘটনা কমাতে শুধু যান্ত্রিক সক্ষমতা নয়, শিল্পকারখানার মালিক- শ্রমিক ও নগরে বসবাসকারী, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালতে সংশ্লিষ্ট সকলের এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে শিল্প-কারখানার মালিক সহ সংশ্লিষ্টদের ফায়ার সার্ভিসের নীতিমালা মানতে হবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন বলেছেন, “শিল্প কারখানার অগ্নি ঝুঁকি মোকাবেলা যাচাই করার জন্য নয়টি টিম গঠন করা হয়েছে। শিপ ইয়ার্ড, গার্মেন্টস, শিল্প কারখানা সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার অগ্নি ঝুঁকি যাচাই করা হবে। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ব্যাপারে নয়টা টিম রিপোর্ট প্রদান করবে। তাদের ফায়ার লাইন্সেস আছে কিনা, সেফটি প্ল্যান আছে কিনা, প্রটেকশন ডিটেকশন সিস্টেম আছে কিনা অর্থাৎ কোন ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমরা সচেতন করার জন্য কাজ করব”।
চট্টগ্রামে অগ্নি নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসের বতর্মান যে লোকবল আছে পাশাপাশি যন্ত্রপাতি বাড়ানো প্রয়োজন বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, টার্নটেবল লেডার, স্কাই লিভ, রোবট ও স্পেশাল ইক্যুপমেন্টস পর্যাপ্ত আছে। চট্টগ্রামে ফায়ার সার্ভিসে বর্তমান ফায়ার ফাইটার সহ জনবল আছে ৫০০ জনের উপরে। নগরে ১৪ টা ইউনিট আছে ফায়ার ফায়ার সার্ভিসের।
জসীম উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামে ফায়ার সার্ভিসের আরো ২০টি স্টেশন হবে চট্টগ্রামে।
এছাড়া অগ্নি নির্বাপন আরো দ্রুত করার জন্য রোবট সংখ্যা বাড়াতে হবে। ১১ হাজার লিটারের পানিবাহী গাড়ির সঙ্গে বাড়ানো প্রয়োজন, টার্নটেবল লেডার, পাম্পের সংখ্যা বাড়াতে হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা। তবে বর্তমান যেসব যন্ত্রপাতি ও জনবল আছে তাতে তাদের কার্যক্রম গতিশীল হয়েছে।
তবে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি স্বল্পতা রয়েছে বলে জানান জসীমউদ্দীন। তিনি বলেন, “সারা বাংলাদেশে যে পরিমাণ ডুবুরি থাকার কথা সে পরিমাণ নেই। ডুবুরির প্রচুর কল হয়, একসাথে পাঁচ-সাতটা কল থাকে, কিন্তু আমরা সেই পরিমাণ দিতে পারিনা”।
প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় ডুবুরি টিম গঠন করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান। বলেন, “চট্টগ্রামে দুইটি ডুবুরি টিম আছে। চাঁদপুরে আছে একটা, আরেকটা চট্টগ্রামের আছে। ফায়ার ফাইটাররা ডুবুরি টিমকে সহায়তা করে”।
 
	    	






