চট্টগ্রাম, ২৯ মার্চ, ২০২২:
চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ৩৬টি খালের মধ্যে ৭টির কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে আরো ১১টি খালের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবে। তাতে এবার বর্ষায় জলাবদ্ধতরা সমস্যা কিছুটা কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কাজ শেষ হওয়া সাতটি খাল হলো, রাজাখালী-২, সরদাঘাট-১, সদরঘাট-২, কলাবাগিচা, মরিয়মবিবি, গুপ্তাখাল এবং টেকপাড়া খাল। এরমধ্যে রাজাখালী-২ খালের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৮০০ মিটার। সদরঘাট-১ খালের দৈর্ঘ্য ৫২৫ মিটার। মরিয়মবিবি খালের দৈর্ঘ্য ৭১৬ মিটার। সদরঘাট-২ ও কলাবাগিচা খালের দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার করে। টেকপাড়া খালের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৮৭ মিটার এবং গুপ্তাখালের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ২৩ মিটার।
সূত্র মতে, আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে প্রকল্পের প্রায় ৬৪ শতাংশ কাজে অগ্রগতি হয়েছে।
অগ্রগতির অংশ হিসাবে ১৮টি খালের রিটেনিং ওয়াল নির্মাণ ও খালগুলো সম্পূর্ণভাবে পানি চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব হবে। ফলে আগামী বর্ষায় জলজট সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রকল্পের ৬৪ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পাধীন ৩৬ খালের মধ্যে ১৮টি সিডিএকে বুঝিয়ে দিতে চাই। এসব খালের কাজ শেষ হলে অগ্রগতি ৭০ শতাংশ হবে। প্রথম ধাপে ৭টি খাল বুঝে নেয়ার জন্য আমরা চিঠি দিচ্ছি। এরপর মে মাসে আরো কিছু এবং জুনেও কিছু খাল বুঝিয়ে দিব। খালগুলোর কাজ সম্পূর্ণ শেষ করেই বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে। বুঝে নেয়ার জন্য রাজি হলে আমরা বাঁধগুলো পরিষ্কার করে দিব। খালগুলো একদম পরিষ্কার অবস্থায় হস্তান্তর করবো। আমরা সিডিএকে হস্তান্তর করবো, সিডিএ সিটি কর্পোরেশনকে হস্তান্তর করবে।
তবে এর আগে প্রায় ২৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ করার পর সেগুলো সিডিএকে বুঝিয়ে দেয়া হলেও প্রায় দুই বছর হলেও সেই ড্রেন বুঝে নেয়নি সিডিএ।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সিডিএ’র প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আহমেদ মাইনুদ্দিন বলেন, নালা ও ড্রেনগুলো বুঝে নেয়ার জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যে চিঠি দেয়া হয়েছিল সেটা আমরা সিটি কর্পোরেশনকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তখন সিটি কর্পোরেশন সেটা বুঝে নেয়নি। বর্তমান মেয়র পজেটিভ।
খালের ব্যাপাওর তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক পত্র পাওয়ার পর আমরা সেটা সিটি কর্পোরেশনের কাছে পৌঁছে দিব। সিটি কর্পোরেশন খালগুলো বুঝে নিবে। তিনি বলেন, ৫০ শতাংশ কাজ হলেই যে ৫০ শতাংশ জলাবদ্ধতামুক্ত হবে বিষয়টা এমন না। শতভাগ কাজ না হওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি সুফল আসবে না।
আগামী জুনের মধ্যে যে ১১টি খালের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো হল- ৩ দশমিক ৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ত্রিপুরা খাল, ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রুবি সিমেন্ট খাল, ৬৫৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে নয়াহাট খাল, ১ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ফিরিঙ্গি বাজার খাল, ৭২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে মোগলটুলি খাল, ২ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে রামপুর খাল, ১ দশমিক ৭৭৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নাছির খাল, ১ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আজব বাহার খাল, ২ দশমিক ৭৯৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে রাজাখালী-১, ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে রাজাখালী-৩, এবং ২ দশমিক ৩৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বাকলিয়া খাল। ছবি: সংগ্রহ করা।