চট্টগ্রাম, ২৩ এপ্রিল, ২০২২:
বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ক্রিকেটের কামাইয়ের পাশাপাশি রয়েছে নানা ব্যবসা। ক্রিকেটার পরিচয়ের পাশাপাশি তাকে বলা যায় বাংলাদেশের অন্যতম একজন ব্যবসায়ীও।
নেটওর্থআইডিয়ার ২০২১ সালের হিসাবে সাকিবের সম্পদের পরিমাণ ৩৪০ কোটি টাকা। যা ৪ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ। বিসিবি থেকে পাওয়া বেতন, বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে আয়, পণ্যের দূত হিসাবে আয়ের পাশাপাশি রয়েছে ব্যবসায়িক আয়ও।
তবে করোনার কারণে তিনি অনেক ব্যবসায় মার খেয়েছেন বলে জানা গেছে।
যদিও ছোট বেলায় তার বোন তাকে বলত- সাকিব যেখানে হাত দেয় সেখানে সোনা ফলে। সত্যি সত্যি ব্যবসা ভাগ্য তার বেশ ভালো হত হয়ত করোনার কারণে সেটা হয়নি। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এখন রিলায়েবল কমোডিটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির চেয়ারম্যানও।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বিনিয়োগই সাকিবের প্রথম ব্যবসায়িক সূচনা। কি কি ব্যবসা আছে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের। যেটাকে তিনি ‘গুড টাইমপাস’ হিসাবে নিয়েছেন। তার আরও ব্যবসার মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুৎকেন্দ্র, প্রসাধনী, ট্রাভেল এজেন্সি, হোটেল, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ই কমার্স, রেস্টুরেন্ট, শেয়ারবাজার এমনকি কাঁকড়া ও কুঁচের ব্যবসাও। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবে রয়েছে তার বিনিয়োগ। ব্যাংক ব্যবসায়ও তার বিনিয়োগ রয়েছে।
তবে করোনার কারণে তার কাঁকড়া ও কুঁচের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে পড়ে যমুনা ফিউচার পার্কের প্রসাধন সামগ্রীর শোরুমও। সৌদি সৌদি আরবে হোটেল ব্যবসায়ও তিনি ভালো করতে পারেননি।
আর আজ থেকে হাত দিলেন সোনার ব্যবসায়। যেখানে সোনা ফলার আশার কথা জানালেন তিনি।
আজ উদ্বোধন করলেন কিউরিয়াস। রাজধানীর বনানীতে। যেখানে পাওয়া যাবে সুইজারল্যান্ডে তৈরি ২৪ ক্যারেটের সোনার বার। সাকিবের কোম্পানি রিল্যায়েবল কমোডিটিজ এক্সচেঞ্জ সুইজারল্যান্ড থেকে এসব সোনার বার আমদানি করে বিক্রি করবে কিউরিয়াসের ফ্যাশন হাউজে। যেখানে এক গ্রাম থেকে ১০০ গ্রাম সোনার বার পাওয়া যাবে। সম্প্রতি সোনার দাম বাড়ায় এক গ্রাম থেকে বিক্রি শুরু হবে। যেখানে এক গ্রামের দাম ৬ হাজার ৬ শ ৭৫ টাকা। যাতে সব মানুষ সোনা কিনতে পারে। রিলায়েবল কমোডিটি ও কিউরিয়াস বলছে, তাদের সোনার বার ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ খাঁটি।
সবার সামর্থ্যরে মধ্যে থাকবে বিধায় সাকিব আল হাসান আশা করছেন, কেনাকাটা বাড়লে আউটলেট আরও বাড়ানো হবে। সোনার ব্যবসা শুরু করার আগে সাকিব আল হাসান পুঁজি বাজারেও বিনিয়োগ করেছেন। তবে তার সোনার ব্যবসায় সোনা ফলাতে পারেন কিনা এই অলরাউন্ডার সেটাই দেখার বিষয়।
Discussion about this post