বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবার মডেল অনুসরণ করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের পাশে চালু করা হয়েছে – ওয়ান স্টেপ ইমার্জেন্সি কেয়ার। এটি সরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশে প্রথম। হাসপাতালে উপরে নিচে ঘোরাঘুরি না করে টিকেট কাটার পর থেকে এক জায়গাতে শুরু ও শেষ হবে চিকিৎসার সকল কার্যক্রম। চিকিৎসকের পরামর্শ সহ রোগ ডায়াগনোসিস এবং রোগির জন্য শয্যা সরবরাহ সব এক জায়গাতেই হবে।
এরমদ্যে যেসব সেবাগুলো নিশ্চিত করা হবে সেগুলো হল : চিকিৎসকের পরামর্শ, পরীক্ষা-নীরিক্ষা : এক্স-রে,আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ও অ্যানালাইজার ইকো কার্ডিওগ্রাম, প্যাথলজিক্যাল টেস্ট সহ সকল ব্যবস্থা। তারপর রোগ অনুযাযী বিভাগয়ি চিকিৎসকদের পরামর্শ। পৃথক পৃথক মেডিসিন, অর্থোপেডিক্স, সার্জারি, নাক-কান, গলা, ডায়াবেটিক, হৃদরোগ, গ্যাসট্রোলজি, মানসিক সহ সকল ধরনের চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসাপত্র ও পরামর্শে সেবা গ্রহণ।একই সাথে ঔষধ, পথ্য সরবরাহ।রয়েছে- অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সেবা। সেখানে পৃথকভাবে থাকবে -প্রতিবন্ধি, বৃদ্ধ, ট্রান্সজেন্ডার, মুক্তিযোদ্ধা রোগীদের জন্য চিকিৎসা সুবিধা। রোগীদের জন্য দুটি অপারেশন থিয়েটার, ৬টি হাই ডিপেন্ডেড ইউনিট, আইসিইউ শয্যার ব্যবস্থা। ওএসইসি-এ (ওসেক) ১০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোগীদের ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পর প্রয়োজন না হলে আর বাড়িতে রেখে চিকিৎসা চলবে। চমেকের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম একজন সহকারী পরিচালকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
চট্টগ্রাম ক্লাব ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে osec স্থাপনে পুরোপুরি সহযোগিতা করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ার এর উদ্বোধন করা হয়। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এটি উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন,সমাজে সবার দায়িত্ব আছে। সমবায়ের মাধ্যমে সেই দায়িত্ব পালন করতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের বলেছেন। জাতির পিতার দর্শনই আজকের অগ্রগতি। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে osec স্থাপনে সহায়তা করে চট্টগ্রাম ক্লাব একটা চমৎকার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি আরো বলেন, এই যে সাংগঠনিক সহযোগিতা এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। তিনি জনগণের মধ্যে সেই আস্থা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টার কারণে সর্বত্র এই সমৃদ্ধি এসেছে। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারিদের osec এর স্থায়িত্ব ধরে রাখার আহ্বান জানান।চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম ক্লাবের চেয়ারম্যান নাদের খান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাক্তার হাসান শাহরিয়ার কবির, বিএমএ’র চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শাহানা আক্তার, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী সহ চিকিৎসকবৃন্দ, চট্টগ্রাম ক্লাবের নেতৃবৃন্দ। চট্টগ্রাম ক্লাবের প্রায় তিন কোটি টাকা অর্থায়নে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেশে প্রথমবারের মত গুরুতর রোগীদের দ্রুত সেবা দিতে osec এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যাতে হাসপাতালে প্রবেশ করার সাথে সাথে রোগীদের দ্রুত রোগ নির্ণয়ের পরপরই চিকিৎসার আওতায় আসবে। একই মেডিকেল সেটআপে চিকিৎসা যেসব সুবিধা থাকবে জরুরি প্যাথলজিক্যাল সার্ভিস সহ সকল জরুরি দেওয়া হবে সেখানে। এতে ইনডোর রোগীদের চিকিৎসা সেবার উপর চাপ কমে আসবে।
Discussion about this post