চট্টগ্রাম, ০১ জানুয়ারি, ২০২৪:
শীতকালে বয়স্ক মানুষদের জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাক্তার অনিরুদ্ধ ঘোষ পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক।
ডাক্তার অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেছেন, শীতকাল আসলে একটা বড় সংখ্যক বয়স্ক রোগী বেড়ে যায়। তাদের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। আগে থেকে যাদের ফুসফুসে সমস্যা আছে, তারা ঠাণ্ডায় বেশি আক্রান্ত হয়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়ে যায়। আর যাদের প্রেসার আছে, ডায়াবেটিক, হার্টের রোগীদের স্ট্যাবল কন্ডিশন আর স্ট্যাবল থাকে না। এজন্য এই ধরনের রোগীদের ভর্তির হার বাড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব রোগীদের শ্বাসনালীর সংক্রমণ হয়। তাদের সংক্রমণের পরিবেশ থেকে দূরে রাখতে হবে। না হলে সংক্রমণের রেট বেড়ে যায়। এজন্য অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় দীর্ঘ সময় বাইরে থাকা যাবে না। যদি বাইরে থাকতেই হয় প্রোপার কাপড়চোপড় পড়ে যেতে হবে। সকালে অনেকে মর্নিংওয়ার্কে যান, শীতকালে মর্নিংওয়ার্কে যাওয়ার সময়ের পরিবর্তন করতে হবে। যখন সূর্য উঠে তখন মর্নিংওয়ার্কে যাওয়া ভাল। শীত ঠেকানোর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে বাইরে যেতে হবে। প্রোপার কাপড়চোপড় পরা, কান ঢাকা ইত্যাদি। প্রচুর শীতে প্রথমে হাঁটা কিছু কমিয়ে আবার বাড়াতে হবে। বয়স্করা সকালের দিকে ঠাণ্ডা এড়ানো, সন্ধ্যায় প্রয়োজনীয় উষ্ণ কাপড় পরতে হবে, সকাল-সন্ধ্যার কুয়াশায় বাইরে চলাফেরায় প্রয়োজনীয় কাপড়চোপড় পরতে হবে। সকাল সন্ধ্যা ব্যবহারের পানি সহনীয় মাত্রায় গরম করে ব্যবহার করতে হবে। সকালে নামাজের জন্য ওজুর জল গরম করা অর্থাৎ কুসুম গরম জল বা শরীরের সমান তাপমাত্রার জল ব্যবহার করতে হবে। আর দিনের বেলায় স্নান করার পরও শরীরের সকল জল গামছা বা তোয়ালে দিয়ে সম্পূর্ণ মুছে ফেলতে হবে। স্নানের জল শরীরে বেশিক্ষণ থাকলে ঠাণ্ডাজল শরীর থেকে টেম্পারিচার বের করে দেয়। গরম পানি দিয়ে স্নান করলেও একইভাবে শরীর ভালোভাবে মুছে ফেলতে হবে। এগুলো ছোটখাট ব্যাপার। এসব কাজগুলো করতে হবে। শীতকালে জল খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়, কিন্তু শীতকালেও স্বাভাবিক জলপান করতে হবে। না হলে প্রস্রাবে সমস্যা হবে। প্রস্রাব কম হলে ইউরিনারি ইনফেকশন হবে। শরীরের ময়েশ্চার ধরে রাখার জন্য জন্যও স্বাভাবিক জল খাওয়া জরুরি। এতে ত্বকের সমস্যা সহ চর্মরোগ হতে পারে। সম্ভব হলে কিছু ফল খেতে পারলেও শরীরের জন্য ভালো।