চট্টগ্রাম, ডিসেম্বর, ২০২৪:
এত দিন বলা হত- বর্ষা মৌসুমই ডেঙ্গু সংক্রমণ মৌসুম। কারণ বর্ষা ডেঙ্গুর প্রজনন মৌসুম। তাদের বংশ বিস্তার হয় বর্ষাকালে।
কিন্তু বর্ষা শেষ হয়েছে। শীতের আগমন ঘটেছে। এরমধ্যেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ৮/১০ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু চিকিৎসার ফোকাল পার্সন ডা নূর মোহাম্মদ পিসিএল পোর্টালকে জানান ডাক্তার নূর মোহাম্মদ বলেন, ডেঙ্গু এখন আর সিজনাল রোগ নয়। আমরা সারা বছর ব্যাপি ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছি। এডিশ মশা সারা বছর বংশ বিস্তারের পরিবেশ পাচ্ছে। শীত আসলেও চমেক হাসপাতালে প্রতিদিন ৮/১০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুর বংবিস্তারে যে পরিবর্তন আসছে, তাদের বংশবিস্তারটা এখন সিজনের উপর নির্ভরশীল নয়। তাদর ধরনটা অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। যে কারণে ডেঙ্গু রোগী শীতকাল, হোক বর্ষাকাল সারা বছর বহন করতে হবে। এজন্য এডিসের বংশবিস্তার যেখানে হয় সেখানে আমাদের টার্গেট করতে হবে। চট্টগ্রামে কোথায় কোথায় হটস্পট আমরা বলে দিয়েছি। কোথায় কোথায় রোগীগুলো বেশি পাচ্ছি। বাকলিয়া, বন্দর এলাকা, কোতোয়ালি থেকে রোগী পাচ্ছি। যে সব হট স্পটগুলো আডেন্টিফাই করে দিয়েছি সেসব ব্রিডিং এরিয়া টার্গেট করতে হবে। এতে সারা বছর যে ডেঙ্গু বহন করছি, ভবিষ্যতে হয়ত কমে আসবে। এই সংখ্যাটা কমে আসলে ডেঙ্গু থেকে মুক্ত হতে পারব।
ডেঙ্গু রোগীদের গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা ট্রিটমেন্ট করি। গাইডলাইন অনুযায়ী রোগীদের এ, বি, সি ক্যাগরিতে ভাগ করে প্রটোকল অনুযায়ী রোগীদের সেট আপ করি। তারপর ট্রিটমেন্ট লাইন আপ দাঁড় করায়। এছাড়া ডেঙ্গু রোগীর শুধু ডেঙ্গু রোগ থাকে না। তাদের অন্যান্য রোগ থাকে। কারো ক্রনিক কিডনি ডিজিজ থাকে, কারো হার্ট, কারো লিভার ডিজিজ থাকে। এসব প্রতিটি ডিজিজের জন্য আলাদা লাইন আপ সেট আপ করা হয়। গাইডলাইন থাকার সুবিধার কারণে আমাদের ট্রিটমেন্ট করতে কোনো বেগ পেতে হয় না। কিন্তু কিছু রোগী খুব খারাপ অবস্থায় আসে। তাদের জন্য একটা গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এই গাইডলাইন অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট প্রটোকল ঠিক করা হয়।
এদিকে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোও জানাচ্ছে, রাজধানী সহ দেশের হাসপাতালগুলোতে এখনো প্রতিদিন শত শত ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেক রোগী মারা যাচ্ছে।
Discussion about this post