চট্টগ্রাম, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩:
জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী নয়জন ফিলিস্তিনি সহ একজন বয়স্ক মহিলাকে হত্যা করার একদিন পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় একাধিক বিমান হামলা শুরু করেছে, যা কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দ্বারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে মারাত্মক অভিযানগুলির একটি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, “আইডিএফ (ইসরায়েলের সেনাবাহিনী) বর্তমানে গাজা উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনী জেনিনের পশ্চিম তীরের নয়জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে।
সিএনএন জানায়,ফিলিস্তিনে মৃতের সংখ্যা এক বছরের মধ্যে বৃহস্পতিবার ছিল সবচেয়ে বেশি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, এটি এই বছর ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৩০ এ নিয়ে এসেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলি অভিযানে লক্ষ্যবস্তু করা জঙ্গিরা, ইসরায়েলিদের ওপর হামলাকারীরা রয়েছেন।
জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি অভিযানের সময় একজন বয়স্ক মহিলাসহ নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে- এই তথ্য ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালযয়ের।
তবে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী বলেছে – তারা জেনিনে বৃহস্পতিবার “ইসলামিক জিহাদ সন্ত্রাসী সংগঠনের একটি সন্ত্রাসী স্কোয়াডকে’ গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছে, এবং তিন “সন্ত্রাসীকে” হত্যা করেছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স, ইজরায়েল সিকিউরিটি এজেন্সি এবং বর্ডার পুলিশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসলামিক জিহাদ সন্ত্রাসী কর্মীরা আইডিএফ সৈন্য এবং ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের উপর গুলিবর্ষণ সহ একাধিক বড় সন্ত্রাসী হামলা চালানো এবং পরিকল্পনা করায় জড়িত ছিল।”
বিবৃতিতে তারা এক সন্দেহভাজন আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানায়। তবে ইসরায়েল তাদের পক্ষের কোনো হতাহতের খবর দেয়নি।
এদিকে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট (পিআরসি) বলেছ, ইসরায়েলি বাহিনী প্রাথমিকভাবে চিকিত্সকদের জেনিন ক্যাম্পে প্রবেশ করতে বাধা দেয়, আহত ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছাতে দিচ্ছিল না।আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। পিআরসি বলেছে যে ইসরায়েলি বাহিনী জেনিন সরকারি হাসপাতালের দিকে টিয়ার গ্যাসের ক্যানিস্টারও ছুঁড়েছে, এতে শিশু আহত হয়েছে।
জেনিন শরণার্থী শিবিরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নয়জন নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং রকেট ফায়ার শুরু হয়। ২০২১ সালের শুরুতে ইসরায়েল অভিযান চালানোর পর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের সবচেয়ে মারাত্মক দিনগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তিন দিনের শোক ঘোষণা করে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেনেহ বলেছেন,ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের সহিংসতার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরিকল্পনা করেছে।
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী টর ওয়েনেসল্যান্ড টুইটারে বলেছেন যে তিনি সহিংসতায় “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন” এবং “দুঃখিত”। সূত্র: সিএনএন ও আলজাজিরা
Discussion about this post