বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ডিজেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, ফার্নেস অয়েল ও কয়লা পুডিয়ে। এছাড়া জলবিদ্যুতও উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে সরকারের সবচেয়ে কম খরচের বিদ্যুৎ হচ্ছে জলবিদ্যুৎ। বেশি খরচ ডিজেলের বিদ্যুতে। এছাড়া বিদ্যুৎ আমদানি করেও চাহিদা মিটানো হয়।
ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয় গড়ে ২২ থেকে ৫৩ টাকা।
গড়ে প্রতি ইউনিট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় হয় মাত্র ১৫ পয়সা। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় হয় ৪ টাকা| প্রাকৃতিক গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ আরও কম|
২০২০-২১ অর্থ বছরে আমদানি ও উৎপাদন সহ গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় হয় ৬টাকা ২৭ পয়সা। উৎপাদন হয়েছিল সাত হাজার ৮৫২ কোটি ৫৬ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা।
দেশে ৬৬ বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে ১০ হাজার ৮৭৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, যা মোট উৎপাদনের ৫১ শতাংশ।
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬০ মেগাওয়াট।
পিডিবির তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছর দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ (আমদানিসহ) ছিল সাত হাজার ৮৫২ কোটি ৫৬ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৪৯ হাজার ২৩৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় হয় ৬ টাকা ২৭ পয়সা। এর মধ্যে সবচেয়ে কম ব্যয় হয় জলবিদ্যুতে। সবচেয়ে বেশি ব্যয় ছিল ডিজেলে ৫৩ টাকা।
এ অর্থবছরে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা ছিল এক হাজার ২শ মেগাওয়াট। এসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় ৬০ কোটি ৭২ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। এতে ব্যয় হয় তিন হাজার ২২৯ কোটি সাত লাখ টাকা। ইউনিট প্রতি উৎপাদন ব্যয় দাঁড়ায় ৫৩ টাকা ১৮ পয়সা।
২০২০-২১ অর্থবছর হাইড্রো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় ৬৫ কোটি ৫০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। এতে ব্যয় হয় ১৮২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ফলে ইউনিট প্রতি উৎপাদন ব্যয় পড়ে মাত্র দুই টাকা ৭৯ পয়সা।
৬৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফার্নেস অয়েল ব্যবহার করে ৫ হাজার ৯২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়, যা মোট উৎপাদনের ২৮ শতাংশ। ছবি: সংগ্রহ
Discussion about this post