চট্টগ্রাম, ২ মার্চ, ২০২৩:
চট্টগ্রাম বন্দর যখন দিন দিন উন্নতি করছে তখন বন্দর কব্জা করতে চোখ পড়েছে বিদেশিদের। নিজস্ব সক্ষমতায় বন্দর যখন কাজ করছে তখন বন্দর পরিচালনার জন্য বিদেশিদের যুক্ত করার বিষয়টি বন্দও সংশ্লিষ্ট অনেকেই ইতিবাচক বলে মনে করছেন না।
তারা বলছেন, দেশিয় বিনিয়োগে চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানে যে সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে তাতে বিদেশি বিনিয়োগের কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ বন্দর উন্নয়নের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর নিজেই স্বয়ংসম্পূর্ণ।
আমদানি- রপ্তানির ক্ষেত্রে বন্দর এক সময় যেসব সঙ্কট ছিল – এখন সেসব সঙ্কট সমাধান করা হয়েছে। সরকারি- বেসরকারি প্রচেষ্টায় বন্দরের কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এসেছে। একই সাথে বন্দরের আয় বাড়ায় বন্দরের অর্থে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ের সহায়তা করা হচ্ছে। সক্ষমতা ও সেবার মান বাড়ায় বর্তমান বন্দরের মান বৈশ্বিক সূচকে ৬৪ তম স্থান লাভ করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দররে ধারাবাহকি উত্পাদনশীলতায় ২০০৯ সালে লন্ডনভত্তিকি আর্ন্তজাতকি শপিংি র্জানাল লয়ডেস-এর জরপিরে তথ্যমতে ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দও বশ্বিরে ১০০টি কনটইেনার বন্দররে তালকিায় ৯৮তম স্থানে ছিল। সেখান থেকে ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ৬৪তম স্থানে উঠে আসে।
চট্টগ্রাম বন্দর র্কতৃপক্ষরে চয়োরম্যান রয়িার অ্যাডমরিাল এম শাহজাহান সংবাদ মাধ্যমকে বলছেনে, ‘আরব আমরিাতরে কন্তিু দুটি অংশ: একটি দুবাই, আরকেটি আবুধাব।ি দুটি অংশই কন্তিু আমাদরে এখানে বনিয়িোগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে।ে এ ছাড়া ইউরোপীয় দশেগুলোও আগ্রহ প্রকাশ করছে।ে এর মধ্যে ডনের্মাকও রয়ছে।ে’
সৌদি আরবরে রডে সি গটেওয়ে যমেন পতঙ্গো কনটইেনার র্টামনিালে বনিয়িোগ করতে চায়, তমেনি ব-ের্টামনিালে বনিয়িোগরে আগ্রহ দখেয়িছেে দুবাইভত্তিকি প্রতষ্ঠিান ডপিি ওর্য়ালড। পাশাপাশি চীনরে চায়না র্মাচন্টেস র্স্পোট হোল্ডংি, ভারতরে আদানি গ্রুপ, সঙ্গিাপুররে পএিসএ, দক্ষণি কোরয়িার হুন্দাই এবং ডনের্মাকরে এপএিমওর চট্টগ্রাম বন্দর নয়িে বশিষে আগ্রহ রয়ছে।ে বন্দররে পাশাপাশি সরকাররে র্শীষ র্পযায়রে বদিশেি প্রতষ্ঠিানগুলোর পক্ষ থকেে যোগাযোগও শুরু হয়ছে।ে
এ বষিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর র্কতৃপক্ষরে সচবি মোহাম্মদ ওমর ফারুক সংবাদ মাধ্যমকে বলনে, ‘টকেনোলজি ট্রান্সফার এবং র্টামনিাল অপারশেনরে কাজ করতে বদিশেি প্রতষ্ঠিানগুলো আগ্রহ প্রকাশ করছে।ে এটি বলি অন ট্রান্সফার (বওিট)ি ভত্তিতিে হব,ে নাকি বনেফিশিয়িারি ওর্নাস (বওি) ভত্তিতিে হব,ে সগেুলো আমাদরে পপিপিি (পাবলকি প্রাইভটে র্পাটনারশপি) র্কতৃপক্ষরে মাধ্যমে ঠকি করা হব।ে’
চট্টগ্রাম বন্দরের যে উন্নতি হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে – বেড়েছে বন্দরের আয়, প্রতি বছরই বাড়ছে আয়ের পরিমাণ, যে কারণে – নজিস্ব তহবলি থকেে নানা উন্নয়ন র্কমকাণ্ড চালয়িে যাচ্ছে বন্দর র্কতৃপক্ষ।
সরকাররে র্অথনতৈকি সমীক্ষার তথ্যমত,ে ২০১০-১১ র্অথবছরে চট্টগ্রাম বন্দর থকেে রাজস্ব আয় হয়ছেে ১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকার বশে।ি
২০১৫-১৬ র্অথবছরে তা উন্নীত হয় ২ হাজার ৩০ কোটি টাকায়।
সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ র্অথবছরে এই আয় উন্নীত হয়ছেে প্রায় ৩ হজার ৬০০ কোটি টাকা। আগে একটি কন্টেইনারের জন্য ২ হাজার ৭০০ টাকা খরচ পড়ত, সেখানে খরচ এখন ১ হাজার ২০০ টাকা। জাহাজের এক সময়ের গড় অবস্থান ১০/১২ দিন থেকে কমে এখন ৪৮ ঘন্টার বেশি নয়। যে কারণে কনটইেনার হ্যান্ডলংি খরচ কমে যাওয়া, অপরদকিে জাহাজরে গড় অবস্থান কমে আসায় পণ্য আমদান-িরপ্তানতিে খরচ অনকে কমে এসছে।ে
আর যে সব কারণে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যয়বহুল ও অদক্ষ বন্দর হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিল ২০০৭ সাল থেকে চবক নানা সংস্কার কার্যক্রম শুরু করে। র্দুনীতি বন্ধ করে শ্রমকি সংগঠনগুলোকে বলিুপ্ত করে স্টভিটির প্রথা বন্ধরে মাধ্যমে কনটইেনার এবং জাহাজ জট মুক্ত করার উদ্যোগ নওেয়া হয়। তখন এই গুরুত্বর্পূণ স্থাপনার সবোখাত বসেরকারি খাতে ছড়েে দওেয়ার সদ্ধিান্ত নওেয়া হয়। এতে চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রমে ব্যাপক গতি পায়।
আগে ঘণ্টায় ১০ থকেে ১২টি কনটইেনার হ্যান্ডলংি হলওে দক্ষ অপারটের যুক্ত হওয়ার ফলে এখন ২৫ থকেে ৩০টি কনটইেনার হ্যান্ডলংি হয়। তথ্যমতে, ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ৯ লাখ ৫৮ হাজার ২০ টইিইউজ কনটইেনার হ্যান্ডলংি হয়ছে।ে ২০১৫ সালে তা বড়েে দাঁড়ায় ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৭ টইিইউজ।ে আর ২০২১ সালে মোট হ্যান্ডলংিয়রে পরমিাণ দাঁড়ায় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৪ টইিইউজ।ে চট্টগ্রাম বন্দরের দুটি বেসরকারি টার্মিনাল হওয়ায় বন্দরের কার্যক্রম গতি বাড়ে বহুগুণ। মোবাইলরে এসএমএসরে মাধ্যমে স্বয়ংক্রয়ি ডজিটিাল পদ্ধততিে কনটইেনাররে অবস্থান শনাক্ত করার কারণে কমেছে আর্থিক খরচ ও সময়।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, এখন বন্দর ব্যবহারকারীদের অভিযোগ অনেক কমে এসেছে। প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি বন্দও বিদেশিদেও হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তাই প্রশ্নবোধক বলে তাদেও অভিমত।
Discussion about this post