Portcity Link
আজ: বুধবার
৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • সারাদেশ
    • নগর-মহানগর
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রেস রিলিজ
  • বিনোদন
  • শিল্প-সাহিত্য
  • আইন ও বিচার
  • চট্টগ্রাম
    • চট্টগ্রাম বন্দর
  • অন্যান্য
    • শিল্প ও বাণিজ্য
      • শেয়ারবাজার
    • শিক্ষা
    • ধর্ম
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
    • বিজ্ঞানপ্রযুক্তি
    • প্রকৃতি-পরিবেশ
    • যুক্তিতর্ক
    • এন্টি জার্নালিজম
    • বিদেশী গণমাধ্যম
    • তারুণ্য
    • নারী
    • চা-বিস্কুট/আড্ডা
    • ঢাকায় থাকি
    • পথেপথে
    • প্রবাসী
    • ফেসবুক/সোশ্যাল মিডিয়া
    • বই থেকে
    • ব্যক্তিত্ব
    • ভ্রমণ-পর্যটন
    • মনপ্রাণ
    • সম্প্রীতি
    • সাজসজ্জা
    • স্বপ্ন ও উদ্ভাবন
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • সারাদেশ
    • নগর-মহানগর
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রেস রিলিজ
  • বিনোদন
  • শিল্প-সাহিত্য
  • আইন ও বিচার
  • চট্টগ্রাম
    • চট্টগ্রাম বন্দর
  • অন্যান্য
    • শিল্প ও বাণিজ্য
      • শেয়ারবাজার
    • শিক্ষা
    • ধর্ম
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
    • বিজ্ঞানপ্রযুক্তি
    • প্রকৃতি-পরিবেশ
    • যুক্তিতর্ক
    • এন্টি জার্নালিজম
    • বিদেশী গণমাধ্যম
    • তারুণ্য
    • নারী
    • চা-বিস্কুট/আড্ডা
    • ঢাকায় থাকি
    • পথেপথে
    • প্রবাসী
    • ফেসবুক/সোশ্যাল মিডিয়া
    • বই থেকে
    • ব্যক্তিত্ব
    • ভ্রমণ-পর্যটন
    • মনপ্রাণ
    • সম্প্রীতি
    • সাজসজ্জা
    • স্বপ্ন ও উদ্ভাবন
No Result
View All Result
Portcity Link
No Result
View All Result
Home লীড

বিশ্ব স্বাস্থ‌্য দিবস- ২০২৩ ও বাংলাদেশের অর্জন

ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী

বিশ্ব স্বাস্থ‌্য দিবস- ২০২৩ ও বাংলাদেশের অর্জন
0
SHARES
4
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

চট্টগ্রাম, ৭ এপ্রিল, ২০২৩:

বিশ্ব স্বাস্থ‌্য দিবসের তাৎপর্য হচ্ছে- ‘স্বাস্থ্যই সম্পদ, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’। পৃথিবীর মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত, সেটার গুরুত্ব উপলব্ধি জন্য দিবসটি পালনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কর্তৃক ১৯৫০ সালে ১ম বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়।
সেই আলোকে আজ ৭ এপ্রিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’। এটি ফোকাস করার পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ৭৫তম বার্ষিকী পালন করবে জনস্বাস্থ্যের উন্নতির ৭৫ বছর থিমের অধীনে। ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। একই বছর জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল এই সংগঠন আইন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় এবং এ দিন বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস বলে নির্ধারিত হয়। প্রতি বছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সকলকে সমান গুণগতমানের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা দিতে ডবিøউএইচও বদ্ধ পরিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি বছর এমন একটি প্রতিপাদ্য বিশ্ববাসীর সামনে নিয়ে আসে, যা বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৫০ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘নো ইউর হেলথ সার্ভিসেস’-এর অর্থ নিজের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সচেতন হোন। এভাবে গত ৭১ বছর ধরে প্রতিবছর ৭ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কোভিড-১৯ নামক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে সব সেক্টরেই কঠোরভাবে আঘাত করেছে এ প্রাণণঘাতী করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় ৪৯ কোটি ৫০ লক্ষাধিক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ৬২ লক্ষাধিক মানুষ এ প্রাণণঘাতী ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ ৫২ হাজার আক্রান্ত এবং মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় ২৯ হাজার ২’শ জন।
এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সর্বত্র বিস্তারে লাভ করেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা নেটওর্য়াক। এসডিজিতে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা, ৪৭টি সূচক ও ১৬৯টি সহযোগী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। এসডিজি’র মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। সকল বয়সী সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ।
গত ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য সেক্টরের এসডিজি অর্জনের অনেক ইতিবাচক উপসর্গ ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে দেশের প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য মিলেছে। শূন্য থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যকে ইতোমধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে সাফল্যের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমডিজি অ্যাওয়ার্ড-২০১০ অর্জন করেছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মা ও শিশু মৃত্যু হার কমানোর কৌশলপত্রের তথ্যমতে, ২০০৯ সালে প্রতি লাখ সন্তান প্রসবে মাতৃ মৃত্যু ছিলো ২৫৯ জন। সম্প্রতি সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬৫ জনে। গত ১০ বছরে মাতৃ মৃত্যু কমেছে প্রতি লাখ জীবিত জন্মে প্রায় ৯৪ জন। শিশু মৃত্যু হার হ্রাসে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। শূন্য থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুর মৃত্যু হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যকে ইতোমধ্যে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) স্বীকৃতি দিয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের টার্গেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু প্রতি হাজারে ৫০ জনের নিচে নামিয়ে আনা।
এসডিজি অনুযায়ী, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য থেকে এক মাস বয়সি শিশু মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ১২ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে, শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ৩৮ জন। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০৩৫ সালের মধ্যে জীবিত জন্মানো শিশু মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭-১৮ (বিডিএইচএস) প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, শিশুপুষ্টির সূচকে দেশ উন্নতি করেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকেই মাতৃস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, শিশুপুষ্টি এসব বিষয়ে সরকার গুরুত্ব দিয়েছিল। দেশের সংবিধানে, বিভিন্ন সময়ে নেয়া পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, স্বাস্থ্যনীতি এবং সর্বশেষ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কর্মসূচিতে এসব বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন বার্ষিক গেøাবাল চাইল্ড হুড রিপোর্ট ২০১৯ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালে গত দুই দশকে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা অনেক হ্রাস পেয়েছে। চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়েবেশি অগ্রগতি অর্জন করেছে, যেখানে ভুটানের শিশু মৃত্যু হার কমেছে ৬০ শতাংশ, নেপালে ৫৯ শতাংশ এবং ভারতের ৫৭ শতাংশ। আর বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়েছে ৬৩ শতাংশ।
২০১৭ সালে গর্ভকালীন মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৭৬ জন থাকলেও বর্তমানে তা ১৭২ জন। এছাড়া ২০১৫ সালে প্রতি হাজার নবজাতকের মধ্যে মৃত্যু হার ২০ জন থাকলেও বর্তমানে তা হ্রাস পেয়ে ১৮ দশমিক ৪ ভাগে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী একটি সফল কর্মসূচী। উক্ত কর্মসূচীর কারণে মাতৃমৃত্যু হার ও শিশুমৃত্যু হার রোধ হয়েছে। এসডিজি’স অর্জনে স্বাস্থ্য খাতের অবদান আজ সবার কাছে পরিস্কার।
মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু হারের উন্নতি আমরা অনেক আগে অর্জন করেছি। বর্তমান সরকার ভবিষ্যতে এই সাফল্য ধরে রেখে তা আরও শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।
কোভিড-১৯ অতিমারী চলাকালীন সময়ে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী চালু থাকার কারণে মা ও শিশুরা অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীতে কোডিভ-১৯ ভ্যাকসিন একিভূত করে চালু রাখার প্রাথমিক পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
কোভিড-১৯ অতিমারী সমগ্র বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে সবার জন্য একিভূত সমঅধিকারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কত প্রয়োজন। কোভিড-১৯ বলে দিয়েছে ধনী-দরিদ্র, শিশু-বৃদ্ধ, পুরুষ-মহিলা, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কেউই মহামারী থেকে আলাদা ছিলেন না। সুতরাং এবারের প্রতিপাদ্য “সবার জন্য স্বাস্থ্য”।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই করোনাকে সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে সারাবিশ্বে ৫ম স্থান অর্জন করেছে। উল্লেখ করা প্রয়োজন- বাংলাদেশে ১০০% জনগণকে ১ম ডোজ, ৮৭% জনগণকে ২য় ডোজ, ৫৪% জনগণকে ৩য় ডোজ এবং ৬০’র উর্ধ্বে ও ফ্রন্টলাইনারদের ৪র্থ ডোজের আওতায় আনা হয়েছে। তবে একথা সত্য, তার নিরলস পরিশ্রম ও অদম্য মনোবলের কারণে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের আগেই করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ইতিবাচক সাফল্য অর্জন করেছে।
মূলত সীমিত আয়তন ও বিপুল জনসংখ্যার বাংলাদেশের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দৃঢ়চিত্তে তা মোকাবিলা করে চলেছেন। কিছুদিন আগে গণটিকা কর্মসূচিতে এক দিনে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে একদিনে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। বিশ্বের ১১৭টি দেশের মধ্যে ৪২টি দেশে জনসংখ্যার পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ। যেখানে ৪২টি দেশে সর্বমোট জনসংখ্যাই এক কোটি ২০ লাখ, সেখানে বাংলাদেশ সরকার একদিনে এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দিয়ে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দেশ হিসাবে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছি।
নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে সরকারের কর্মসূচী : বর্তমানে অসংক্রামক রোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বর্তমান বিশ্বে রোগের প্রকোপ সংক্রামক থেকে অসংক্রামক দিকে ঝুকে যাচ্ছে। পৃথিবীর মোট মৃত্যুর ৬৮ ভাগ ঘটে অসংক্রামক রোগের কারণে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের তত্ত¡াবধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটি অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী (এনসিডিসি) শাখা রয়েছে। একজন পরিচালক পদ মর্যাদা লাইন ডাইরেক্টর এ শাখার নেতৃত্ব দেন। বর্তমানে দেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনসিডি কণার্র চালুর মাধ্যমে ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ, স্টোক, অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ, চক্ষু চিকিৎসা, অন্ধত্ব দূরীকরণ, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি জনকল্যাণমূখী স্বাস্থ্যসেবা চালু করা হয়েছে। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী (এনসিডিসি) রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০১৮-২০২৫ একটি বহুখাত ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা সময় উপযোগী পদক্ষেপ। যার উদ্যেগের মধ্যে- এডভোকেসি, তামাকের হ্রাস, মাদকের ব্যবহার হ্রাস,স্বাস্থ্যকর খাদ্যেভাসের প্রসার, কায়িক পরিশ্রমের প্রসার, স্বাস্থ্যকর স্থাপনার প্রসার ও গৃহস্থিত বায়ু দূষণের বিস্তার হ্রাস।
স্বাস্থ্যখাতে জাতির পিতা তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই লক্ষ্যে গৃহীত ১০ শয্যার থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্র বিশ্বে আজও সমাদৃত মডেল।
বঙ্গবন্ধু সংবিধানে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা মৌলিক অধিকার এবং রাষ্ট্রের কর্তব্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে প্রণীত প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান। ১৯৭৪ সালে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা। ১৯৭৫ সালের ২৩ এপ্রিল ‘বাংলাদেশ পুষ্টি পরিষদ’ গঠনের আদেশে স্বাক্ষর করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। নার্সিংসেবা ও টেকনোলজির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা। উন্নয়নশীল দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার মূল নীতি হলো, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর’-এ নীতিকে বাস্তবায়ন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয় ‘নিপসম’ নামের প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে রোগ, রোগতত্ত¡ এবং রোগের প্রতিকার বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। দেশে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৫’শটি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী। কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩০ ধরণের ঔষধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে। প্রতি মাসে প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা নেন। চট্টগ্রাম জেলায়ও ৫৩৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। দেশের ৯৯% উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায়। ৯১.৩% শিশুকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে। স্বীকৃতি স্বরুপ আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন পদক ও পুরস্কার প্রাপ্ত হন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশকে পোলিও ও ধনুষ্টংকার মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সকল হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, হেলথ টেকনোলজী প্রতিষ্ঠান, নাসির্ং কলেজ ও নাসির্ং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছেন। ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবার প্রতিটি ক্ষেত্রে জনবল বাড়ানো হয়েছে। অনুর্ধ্ব ৫ বছর বয়সীর শিশুর ওজন হার ৩৬.৪ ভাগে নেমে এসেছে এবং অনুর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুমৃত্যু হার ৭১ ভাগ। মাতৃস্বাস্থ্যের হার ৩.৭৬ (প্রতি হাজার জীবিত জম্মে)। পুরোদমে এগিয়ে চলছে স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম। ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল কর্মীর জন্য ট্যাব কম্পিউটার বিতরণ করা হয়েছে এবং সেবাদান অনলাইন ভিত্তিক। গ্রাম পর্যায়ের সকল স্বাস্থ্যসেবা অনলাইনে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে ইন্টারনেট সংযোগ চালুমহ ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা, ডিজিটাল হাজিরার মাধ্যমে চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মীদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ, টেলি মেডিসিন সেবা (বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সেবা),
জিপিআরএস সিস্টেম ও কম্পিউটারইজ অটোমেশন ব্যবস্থা, বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু, ২৪ ঘন্টা মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্যসেবা, প্রতিটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ওয়েবসাইট ব্যবস্থা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা, হাসপাতালে কেবিন ও সিট সংরক্ষিত রাখা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের ব্যবস্থা। গর্ভবতীদের মহিলাদের জন্য ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সেবা ও প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি বৃদ্ধি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম অর্জন স্বাস্থ্যখাতে একটি জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন। একই ভাবে হালনাগাদ করা হয়েছে জাতীয় ওষুধনীতিও। বর্তমানে দেশের চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করার পাশাপাশি বিশ্বের শতাধিক দেশে আমাদের ওষুধ রপ্তানি করা হচ্ছে। ঢেলে সাজানো হয়েছে দেশের স্বাস্থ্য প্রশাসনকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিভাগকে দুটি বিভাগে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা হয়েছে। চিকিৎসক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সুযোগ সুবিধা ও মান মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে বর্তমান সরকার। এ সরকারের আমলে দেশে অসংখ্য নতুন বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি, নিউরোসাইন্স, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি, ইএনটিসহ একাধিক ন্যাশনাল পোস্টগ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট। কুর্মিটোলা, মুগদা, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ইউনিট-২, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ইউনিট-২, শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ইত্যাদি নতুন হাসপাতাল শেখ হাসিনার সরকারেরই অর্জন। নতুন শয্যা সংযোজন আর আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেবার সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে জাতীয় হৃদরোগ, কিডনী, মানসিক স্বাস্থ্য এবং শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য, অর্থপেডিক ইনস্টিটিউট আর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আর আজিমপুরের মা ও শিশু হাসপাতালসহ অসংখ্য হাসপাতালের। পাইপ লাইনে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল এবং জাতীয় লিভার ও ফিজিক্যাল মেডিসিন ইন্সটিটিউটের মত অতি প্রয়োজনীয় হাসপাতালগুলো। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২৪টি নতুন সরকারি মেডিকেল কলেজ আর এগুলো স্থাপিত হয়েছে জেলায় জেলায়। এর ফলে ভবিষ্যতে চিকিৎসার জন্য এদেশে চিকিৎসকের ঘাটতি জনিত হাহাকার যে আর থাকবে না তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। পাশাপাশি চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞ হিসেবে গড়ে তোলা আর দেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গবেষণার প্রসারের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। আর চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে নতুন পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। ক্ষমতায় ফিরে এসে দেশের অবশিষ্ট বিভাগগুলোতেও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। স্বাস্থ্যখাত বাদ যায়নি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটালাইজেশনের সুফল থেকে।
দেশব্যাপী চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে বিপুল অর্জন তার স্বীকৃতিতে ভুল করেননি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তার আরও অসংখ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে অর্জিত সাউথ সাউথ এওয়ার্ড, এমডিজি ফোর এওয়ার্ড ইত্যাদিও আমাদের রাষ্ট্রীয় তোষাখানা জাদুঘরকে আলোকিত করে রাখবে।
# ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ‌্য দিবস উপলক্ষে লেখাটি অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সম্পাদিত অংশ এখানে তুলে ধরা হয়েছে।#

#লেখক ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন

ShareTweetShare
Previous Post

ট্রায়ালের পরই খুলে দেওয়া হবে কর্ণফুলী টানেল

Next Post

বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত

Related Posts

বাংলাদেশে স্টার লিঙ্কের ব‍্যবসায়িক যাত্রা শুরু
বিজ্ঞানপ্রযুক্তি

বাংলাদেশে স্টার লিঙ্কের ব‍্যবসায়িক যাত্রা শুরু

এনসিটি ঝড় ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারাদেশে
চট্টগ্রাম বন্দর

এনসিটি ঝড় ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারাদেশে

জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সামরিক গুরুত্ব অপরিসীম: ফরহাদ মজহার
চট্টগ্রাম

জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সামরিক গুরুত্ব অপরিসীম: ফরহাদ মজহার

হালদা নদীতে কার্পের ডিম সংগ্রহকারীর শিরনি দান
চট্টগ্রাম

হালদা নদীতে কার্পের ডিম সংগ্রহকারীর শিরনি দান

চট্টগ্রামে ৪টি নতুন হাসপাতালের উদ‍্যোগ প্রধান উপদেষ্টার
লীড

চট্টগ্রামে ৪টি নতুন হাসপাতালের উদ‍্যোগ প্রধান উপদেষ্টার

বক্সিরহাট রোডে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের শৈশব
চট্টগ্রাম বন্দর

দেশের অর্থনীতির পরিবর্তন করতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই আশার আলো: অধ্যাপক ইউনূস

Next Post
বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত

বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে ৮ জন নিহত

Discussion about this post

Archive Calendar

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 ১২
৩৪৫৭৮৯
১০১১১১৩৪১৫১৬
১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৯৩০
৩১  

সম্পাদক ও প্রকাশক :

সম্পাদকীয় কার্যালয় :

৪০ মোমিন রোড, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম

মোবাইল : 
ইমেল:

Copyright © 2018: portcitylink II Design By : F.A.CREATIVE FIRM

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • সারাদেশ
    • নগর-মহানগর
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রেস রিলিজ
  • বিনোদন
  • শিল্প-সাহিত্য
  • আইন ও বিচার
  • চট্টগ্রাম
    • চট্টগ্রাম বন্দর
  • অন্যান্য
    • শিল্প ও বাণিজ্য
      • শেয়ারবাজার
    • শিক্ষা
    • ধর্ম
    • ইতিহাস-ঐতিহ্য
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
    • বিজ্ঞানপ্রযুক্তি
    • প্রকৃতি-পরিবেশ
    • যুক্তিতর্ক
    • এন্টি জার্নালিজম
    • বিদেশী গণমাধ্যম
    • তারুণ্য
    • নারী
    • চা-বিস্কুট/আড্ডা
    • ঢাকায় থাকি
    • পথেপথে
    • প্রবাসী
    • ফেসবুক/সোশ্যাল মিডিয়া
    • বই থেকে
    • ব্যক্তিত্ব
    • ভ্রমণ-পর্যটন
    • মনপ্রাণ
    • সম্প্রীতি
    • সাজসজ্জা
    • স্বপ্ন ও উদ্ভাবন