চট্টগ্রাম, ২০ এপ্রিল, ২০২৩:
গত মঙ্গলবার রাতে গরুর মাংসের কথা বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রির একটি খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়েছিল। উখিয়ার মরিচ্যা পালং বাজারে এই ঘোড়ার মাংস বিক্রির ঘটনা ঘচে। পরে উখিয়ার হলদিয়া পালংয়ের চেয়ারম্যানের কাছে ঘোড়ার মাংস বিক্রেতা ওই কসাইয়ের কারসাজি ধরা পড়ে। এখন ওই কসাই র্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর জানা গেছে কসাই মাহবুব আলম এই পর্যন্ত ত্রিশটি ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রি করেছেন। কিন্তু তিনি কোথায় পেলেন এত ঘোড়া মাংস বিক্রি করার জন্য।
ও্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মাহবুব জানিয়েছেন, তিনি এই পর্যন্ত ৩০টির বেশি ঘোড়া জবাই করে বিক্রি করেছেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অসুস্থ ঘোড়াগুলো যখন মালিক ফেলে চলে যেতেন, তখন তিনি টার্গেট করে থাকতেন। পরে চিকিৎসার নাম করে জবাই করে বিক্রি করতেন।
র্যাব-১৫ এর সিপিসি-১ এর কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদেরকে বলেন, পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে আমরা অভিযানে নামি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত কসাই। তিনি বারবার স্থান পরিবর্তন করছিলেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতায় আমরা জানতে পারি, তিনি রামুর একটি গহীন পাহাড়ে অবস্থান করছেন। পরে আমরা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হই। আটক মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে কক্সবাজারের উখিয়ায় রাতের আঁধারে ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রি করতেন কসাই মাহবুব। আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে রামুর গহীন পাহাড় থেকে এই অভিযোগে মাহবুব আলমকে (৩০) আটক করেছে র্যাব। তিনি উখিয়া হলদিয়া পালং এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশাদার কসাই।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে কসাই মাহবুব কিভাবে ঘোড়া সংগ্রহ করতেন সেই তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়।
মাহবুব মঙ্গলবার পবিত্র শবে কদরের দিন গরুর মাংসের বদলে ঘোড়ার মাংস বিক্রির খবর প্রকাশ হবার পর পরই পালিয়ে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই অভিযুক্ত মাহবুব পালিয়ে যান। তবে ঘোড়ার মাংস জব্দ করে পুলিশ।