চট্টগ্রাম, ৩ জুলাই,২০২৩:
পরীক্ষামূলকভাবে মহেশখালী গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল ও ডিজেল ইস্টার্ন রিফাইনারিতে আনা হচ্ছে। পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া শেষে দু’এক মাসের মধ্যে চূড়ান্তভাবে জ্বালানি সরবরাহ শুরু হবে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের নিজস্ব প্রকল্প এটি।
আজ সোমবার থেকে পরীক্ষামূলক এই জ্বালানি সরবরাহ শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত একমাত্র জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি।
ইতিমধ্যে পানামার জাহাজ ‘এমটি হোরে’ সৌদি আরব থেকে জ্বালানি এনে নোঙ্গর করেছে মহেশখালীর কালারছড়ার গভীর সমুদ্রে। সেখান থেকে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’ (বিশেষায়িত বয়া) ব্যবহার করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেলবাহী জাহাজটি থেকে তেল খালাস করে মহেশখালীর কালারমারছড়ায় ট্যাংক ফার্মে নিয়ে যাওয়া হবে।
মহেশখালীর কালারমারছড়ার উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে নোঙ্গর করবে তেলবাহী বড় এই জাহাজ। সেখান থেকে পাইপ লাইনে আনোয়ারা হয়ে নিয়ে আসা হবে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। দুটি পাইপের একটিতে আসবে সব ক্রুড অয়েল অন্যটিতে ডিজেল।
আগে তেল আনা হত গভীর সমুদ্রে নোঙ্গর করা জাহাজ থেকে লাইটারেজ জাহাজে। এখন তার বদলে মহেশখালী থেকে তেল আসতে সময় লাগবে মাত্র ৭২ ঘণ্টা মানে তিনদিন আগে লাইটারেজে খালাস করতে সময় লাগত ১০/১১ দিন।
মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরের
কালারমারছড়ায় ট্যাংক ফার্মের সাথে পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য ১৬ কিমি., সেখান থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য ৭৪ কিমি. পরে ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত দূরত্ব ৩৬ কিমি.।
গভীর সমুদ্রে জাহাজটি নোঙ্গর করেছে ২৪ জুন। ৮২ হাজার টন ক্রুড অয়েল নিয়ে আসে সৌদি থেকে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে এতদিন পরীক্ষামূলকভাবে তেল খালাস সম্ভব হয়নি। যা আজ শুরু করেছে ইস্টার্ন রিফাইনারি।
এরপর পরিশোধিত তেলের জাহাজ আসবে। তখন দ্বিতীয় পাইপলাইনটি কমিশনিং করা হবে।
৪ হাজার ৯৩৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকার প্রকল্প এটি। ডিসেম্বরে এটির কাজ শেষ হবার কথা ছিল। এরপর তিনবার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। একইসাথে বাড়ানো হয় প্রকল্প খরচ।
ইআরএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটি খুবই উচ্চ প্রযুক্তির প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরীক্ষামূলক কমিশনিং সফল হলে এটি উদ্বোধন করবেন
Discussion about this post