চট্টগ্রাম, ২৩ জুলাই, ২০২৩:
আজ রাতে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় সাগরের উদ্দেশ্যে মাছ ধরার জন্য ছুটবেন জেলেরা। রাত ১২ টায় শেষ হবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য জেলেরা যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তবে জেলেরা বলেছেন,জো শেষ হয়ে যাওয়ায় বেশি মাছ আহরণের সম্ভাবনা নেই। তবে ৫/৭ দিনের মধ্যে আশানুরূপ মাছ আহরণ করতে পারবে বলে তারা আশা করছেন।
আজ বঙ্গোপসাগর উপকূলে নগরের রাণি রাসমনি ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা জাল বোনা, মেরামত করা, মাছ ধরার যন্ত্রযান ঠিকঠাক রাখার কাজগুলো শেষ বারের মত দেখে নিচ্ছেন। জেলে নূর মোহাম্মদ জানান, আজ রাত ১২ টার পর মাছ ধরতে সাগরে ট্রলার ভাসাবেন তারা। আলাদা আলাদা ট্রলারে প্রায় ৮/১০ জনের টিম মাছ শিকারে সাগরে যাবে। এরকম প্রায় কয়েক হাজার জেলে প্রস্তুত রানি রাসমনি ঘাটে।
জেলেররা বলেন, নিষেধাজ্ঞার ৬৫ দিন তাদের চলতে বেশ কষ্ট হয়েছে। সরকারি যে চাল তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয় তা অপ্রতুল। কোন রকমে দিন পার করেছেন ৬৫ দিন। তবে তারা কষ্টের কথা ভুলে যাবে যদি সাগরে আশানুরূপ মাঝ ধরতে পারে।
তারা বলেন, ৬৫ দিন একটি পরিবার নিয়ে চলা বেশ কষ্টকর। ছেলেমেয়ের স্কুল-কলেজ খরচ থেকে সবকিছু চালিয়ে নিতে তাদের বেগ পেতে হয়।
এর মধ্যে তাদের একটা সরকারের কাছে। সেটা হচ্ছে মাছ ধরার যে নিষেধাজ্ঞা সেটা যদি ভারতের নিষেধাজ্ঞার সাথে সমন্বয় করা হয় অর্থাৎ একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাহলে দেশের মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা হবে। তারা বলেন, আমাদের দেশে যখন নিষেধাজ্ঞা থাকে তখন তারা মাছ ধরতে সাগরে নামে। এ সময় তারা বাংলাদেশের জলসীমায় এসে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এজন্য বঙ্গোপসাগরের সব জেলেদের জন্য একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
শুধু রাণি রাসমনি ঘাটই দেশের দেশের সমুদ্র উপকূলের সব জেলেরাই আজ রাত ১২ টার পর থেকে মাছ ধরতে সাগরে ছুটবে। এমনকি যারা দূর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়, ১৫ দিন বা মাস সময় পেরিয়ে যায় ফিরে আসতে, তারা আরও আগে সমুদ্রে চলে গেছেন বলে জানান জেলেরা।
Discussion about this post