চট্টগ্রাম,৮ আগস্ট, ২০২৩:
প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, বান্দরবানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বান্দরবান। কক্সবাজারে পাহাড় ধসে অন্তত চার জন মারা গেছে।
তবে গতকাল সোমবার বৃষ্টিপাত কমে আসলে চট্টগ্রাম নগরের জলজটও কমে আসে। তবে নগরীর বাইরে চট্টগ্রাম জেলা হাটহাজারী, রাঙ্গুনীয়া, রাউজান, লোহাগাড়া সহ জেলার ব্যাপক এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের মাঠ, ক্ষেতের শাকসবজি, মৎস্যখামার। সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। নানা মাত্রায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ।
এদিকে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আজ আবহওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, ভারী বর্ষণ ও বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা বুধবার বিকাল পর্যন্ত থাকবে। তবে আজ মঙ্গলবার মাঝেমধ্যে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে।
জেলার হাটহাজারীতে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে পৌরসভা এলাকা ও উপজেলা সবকটি ইউনিয়নের নিম্ন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধশতাধিক গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ। প্রায় সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অঘোষিত বন্ধ রয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে পার্বত্য জেলা পৌঁছার অন্যতম মাধ্যম চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকাসহ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো। রেললাইন ডুবে যাওয়াতে সকাল থেকে বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম নাজিরহাট রেল যোগাযোগ। শত শত পুকুরের মাছ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি এবং অনেক গৃহস্থকে তাদের গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, টানা বর্ষণে উপজেলার গড়দুয়ারা, গুমানমর্দ্দন, নাঙ্গলমোড়া, উত্তর মার্দাশা, দক্ষিণ মাদার্শ, মেখল, শিকারপুর ও বুড়িশ্চর ইউনিয়নের জনজীবন সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ফরহাদাবাদ, ধলই, মির্জাপুর, চিকনদ-ী ও পৌরসভা এলাকার মোহাম্মদপুর, মীরের খীল ও ফটিকা এবং চসিক ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের দুই লক্ষাধিক লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মাছ চাষীদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।
পাশাপাশি গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে অনেক গৃহস্থকে।
–
মহাসড়ক দুইটিতে যান চলাচল তেমন বেশি স্বাভাবিক ছিল না। এতে করে জীবীকার তাগিদে চাকরি ক্ষেত্রে পৌঁছতে এবং প্রয়োজনে উক্ত মহাসড়ক ব্যবহারকারী যাত্রী সাধারণ ও রোগীদের যথেষ্ট পরিমাণে বেগ পেতে হয়েছে। তাছাড়া উপজেলার প্রায় সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অঘোষিত বন্ধ ছিল।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ফতেয়াবাদে রেললাইনে পানি ওঠায় সকালের ডেমু ট্রেন বন্ধ রাখা হয়।
৪ দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি পানির ঢলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেক সড়ক-উপসড়ক ভেঙে গেছে। পানি বন্দি হয়ে হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন।
লোহাগাড়ার উপর দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন খাল ও ছড়ার পানি দু’কুল উপচে পড়ে পুকুর ও খাল-বিল একাকার হয়ে গেছে। অনেক গৃহস্থের পুকুর ও মৎস্য প্রকল্প ডুবে বের হয়ে গেছে মাছ। ফলে, পুকুর ও মৎস্য প্রকল্পের মালিকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
রাজঘাটা সড়ক ও আমির খান চৌধুরী পাড়া-ঘোনাপাড়া সড়ক ভেঙ্গে গেছে। ইউনিয়নের প্রায় ১শ’ কাঁচা বাড়ি ভেঙ্গে গেছে।
পদুয়া নাওঘাটা ধোয়ারটেক এলাকায় হাঙ্গর খালের ভাঙ্গনে প্লাবিত হয়ে এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
টংকাবতী খালের পানিতে কলাউজানে মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
চরম্বা ইউনিয়নের রাজঘাটা, মাইজবিলা, বাইয়ার পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
ঢলে
ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলে ফটিকছড়ির বিভিন্ন নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে । এখানকার অনেক বীজতলাসহ ডুবে গেছে বহু গ্রামীন রাস্তাঘাট, মৎস খামার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার । নিম্ন আয়ের মানুষেরা উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন। দাঁতমারা, নারায়নহাট, পাইদং, কাঞ্চ ননগর, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিল, রোসাংগিরী, নানুপুর, লেলাং, বক্তপুর, ধর্মপুর, সমিতিরহাট, জাফতনগর, আবদুল্লাহপুর ও সুন্দরপুর ইউনিয়নের একাদিক এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে। এছাড়া ফটিকছড়ি পৌরসভা ও নাজিরহাট পৌরসভার কয়েকটি বাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সাথে সাথে ইউনিয়ন গুলার উপর দিয় প্রবাহিত হালদা, ধুরুং, লেলাং, মানাইছড়ি, কুতুবছড়ি, বারমাসিয়া, ফটিকছড়ি, হারুয়ালছড়ি, গজারিয়া, শোভনছড়ি, রক্তছড়ি , সর্তা ও তেলপারাই খালের পানি বিপদ সীমার উপর দিয় প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে । কৃষকের আমনের বীজ তলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । বিলীন হয়ে যাচ্ছে কার্পটিং সড়ক, ব্রিক সলিন সড়ক ও গ্রামীন রাস্তাগুলো।
প্লাবিত এলাকার মৎসচাষিরা বলেন, প্রবলবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে শত শত মৎস প্রজক্ট সবকটি ভেসে গেছে। এত কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে শাকসবজির ক্ষেত, আমন ধানের চাষাবাদ ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের।
বান্দরবান:
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি পানির ঢলে বান্দরবান এখন পানিবন্দি। সাঙ্গু নদী উপচে প্লাবিত করেছে নিম্ন এলাকা। পাহাড় ধস ও বন্যায় বিচ্ছিন্ন আন্তঃজেলা ও অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ। বিদ্যুৎ নেই অনেক জায়গায়।
জেলা শহরের অনেক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে হোটেলে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। লামা, আলীকদম,
কক্সবাজারের সাথে আলীকদম-লামা হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া পর্যন্ত সড়কে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ির পথেও যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অনেক জায়গায় সড়ক ও কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে। ভেঙ্গে গেছে মানুষের ঘরবাড়ি।
তবে দুর্যোগের সাথে সমন্বয় করে প্রশাসন বন্যাকবলিত মানুষদের আশ্রয় ও খাবার দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কক্সবাজার
শ্রাবণের রেকর্ড বৃষ্টিপাতে কক্সবাজারে পাহাড় ধসে দুই রোহিঙ্গা সহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
চকরিয়া ও উখিয়া উপজেলায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু ও একজন নারী। ফায়ার সার্ভিস ও জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন,
পাহাড় ধসে উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পের সি-ব্লকে আনোয়ার ইসলামের স্ত্রী জান্নাত আরা (২৮) এবং তার মেয়ে মাহিমা আক্তার (১) নিহত হন।
তবে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বড়ঘোনা এলাকায় নিহতদের নাম জানা যায়নি।
ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের পেকুয়ায় বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গনে প্লাবিত হয়েছে নিম্ন অঞ্চল। পাহাড়ি ঢলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে কয়েক জায়গায়। মাতামুহুরী নদীর পানিতে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনা সাব মেরিন সড়কেও সৃষ্টি হয়েছে ভাঙ্গন, ডুবে গেছে একাংশ। পেকুয়া সদর, শিলখালী, উজানটিয়া, রাজাখালী ও বারবাকিয়ার নিম্নাঞ্চলের পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। মেহেরনামার দুটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গেছে ।
বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় সদর ইউনিয়নের বলির পাড়া, সৈকত পাড়া, মোরার পাড়া, মেহেরনামা, ছিরাদিয়া, বিলহাচুরা, টেকপাড়া, বাংলাপাড়া, হরিনাফাঁড়ি, মগকাটা, বকসুচৌকিদার পাড়াসহ প্রায় ১৫ গ্রামের বাসিন্দারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে গ্রামের সড়ক ।
পেকুয়া উপজেলার ৬০ শতাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে। অনেক মানুষের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। টানা বর্ষণে
উপকূলীয় অঞ্চল রাজাখালী, মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নে প্রায় বিশ হাজার মানুষ বর্তমানে পানির মধ্যেই জীবন যাপন করছে। এরমধ্যে রাজাখালীর লালজান পাড়া ও উজানটিয়ার পেকুয়ার চর এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ ।
পেকুয়ারচর এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বর্ষাতেই পানির নিচে চলে যায় আমাদের এলাকা। এরমধ্যে টানা বৃষ্টি হলেই পানি বেড়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। তখন জীবনযাপন হয়ে পড়ে দুর্বিষহ। মুলত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকাতে প্রতিবছর এ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
খাগড়াছড়ি
সোমবার থেকে এবছর শ্রাবণের রেকর্ড বর্ষণ থামলেও বৃহত্তর চট্টগ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খাগড়াছড়ি শহরের শালবন, কলাবাগান, সবুজবাগ এলাকায় সোমবার দুপুরে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড় ধসে দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সড়ক যোগাযোগ সচল করতে কাজ করছে প্রশাসন।
এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও পাহাড় ধসে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। প্রশাসন ঝুকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে। পাহাড় ধসের পাশাপাশি খাগড়াছড়ির নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেড়েছে চেঙ্গী নদীর পানি। এতে প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ি বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে দীঘিনালা উপজেলার-মেরুং সড়কসহ এলাকার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল । মেরুং-লংগদু সড়কের দাঙ্গাবাজার মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে মেরুং ইউনিয়ন এর ছোবাহানপুর, চিটাগাংপাড়া, ১নং কলোনি, ৩নং কলোনি এলাকায় নিম্নাঞ্চল পানি ঢুকে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
দীঘিনালা কবাখালী, বোয়ালখালী ও মেরুং এলাকার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো ভারি বর্ষণে প্লাবিত হওয়ায় পাহাড় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম জানান, ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয়কেন্দ্র। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
রাঙামাটি :
ভারী বর্ষণে রাঙামাটিতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় ডুবে গেছে নিম্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষের ঘরবাড়ি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে ভেঙ্গেছে ঘরবাড়িও। কোথাও কোথাও রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে। মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে দুইটিলা এলাকায় দুইবার পাহাড় ধসের ঘটনায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একইসাথে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে প্রশাসন সহ উদ্ধার তৎপরতায় মাঠে কাজ করছে বলে জানান। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব উপজেলায় ঝুঁকি মোকাবেলায় কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খাবার সহ ১৮২ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
Discussion about this post