৮ অক্টোবর, ২০২১ :
মিয়ানমারে অং সাং সুচির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের আট মাসের মাথায় সেখানে বিকল্প সরকারের প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় ও ফ্রান্সের পার্লামেন্ট। মিয়ানমারে বিকল্প সরকার কেমন হতে পারে? সংবাদ মাধ্রম লিখেছে – জাতয়ি ঐক্যের সরকার। যেখানে সব পক্ষের অংশগ্রহণ থাকবে। মিয়ানমারে জেনারেল সমন অং হ্লাইংয়ের সামরিক সরকারকে এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের ৭৪ তম সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের আসনটি ফাঁকা ছিল।
এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একপি প্রস্তাব পাস েহয়েছে। পার্লামেন্টে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে ৬৪৭ সদস্য এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। ভোট দানে বিরত থাকেন ৩১ জন পার্লামেন্ট মেম্বার। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমার সামরিক জান্তার নিন্দা জানানো হয়। তারা অ্যাসিয়ান সহ আন্তর্জাতিক সব পক্ষকে এনইউজির পক্ষে কাজ করার জন্য আহ্বান জানায়।
এর আগে গত মঙ্গলবার এনইউজির সরকারকে স্বীকৃতি দিতে একটি প্রস্তাব পাস হয় ফ্রান্সের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ সিনেটে। মিয়ানমারের চলমান সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য আসিয়ানের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে জোটটিকে (আসিয়ান) আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে বলা হয়েছে। আসিয়ান তাদের উদ্যোগে যাতে এনইউজিসহ মিয়ানমারের নাগরিক সমাজকে যুক্ত রাখে, সেটিও বলা হয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে।
মিয়ানমারে জান্তা সরকার যে অজুহাতে জনগণের উপর নিপীড়ন, নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তার কোনো সত্যতা পায়নি। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরাপদ, স্বেচ্ছা ও মর্যাদাপূর্ণ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে অং সাং সুচি সহ অন্যদের মুক্তি দাবি করেছেন।
মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আগামী মাসে (নভেম্বর) জাতিসংঘে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রস্তাবে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের নতুন একটা যোগাযোগের সূচনা হবে। যেখানে আরও বিস্তৃত পরিসরে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কথা বলা যাবে।