চট্টগ্রাম,১২ ডিসেম্বর, ২০২৩:
চট্টগ্রাম নগরের খাল ও নালায় পড়ে গত ৬ বছরে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ সহ অন্তত ১০ জন নিহত ও নিখোঁজ হয়েছে। এরমধ্যে ৫ জনের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ চেয়ে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব বরাবরে। চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোহাম্মদ রিদুয়ান এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান গতকাল সোমবার। ৬০ দিনের মধ্যে এ নোটিশের আলোকে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। নোটিশে চট্টগ্রাম নগরীর নালা-নর্দমাগুলোতে স্লাব বসানো, ভাঙা স্ল্যাব অপসারণ,অরক্ষিত খালের পাড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ, নালা ও খালে পড়ে মৃত্যুবরণকারীদের পরিবার ও আহতদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মোহাম্মদ রিদুয়ান।
আইনজীবী মোহাম্মদ রিদুয়ান জানান,নোটিশদাতা ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- মোহাম্মদ ফজলুল সাব্বির অভি, এমরান হোসেন, মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান, জোবায়ের হোসেন শাওন ও তাওহিদুল করিমের পক্ষ থেকে নোটিশদাতা ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- মোহাম্মদ ফজলুল সাব্বির অভি, এমরান হোসেন, মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান, জোবায়ের হোসেন শাওন ও তাওহিদুল করিমের পক্ষ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গত ২৮ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের উত্তর আগ্রাবাদের রঙ্গীপাড়া এলাকার একটি নালায় পড়ে নিখোঁজ হয় দেড় বছরেরশিশু ইয়াছিন আরাফাত।পেরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ফতেহপুর ইসলামি হাটসংলগ্ন বাদামতলা এলাকার নালায় পড়ে মৃত্যু হয় কলেজছাত্রী নিপা পালিতের (২০)।২০২১ সালের ৩০ জুন মেয়র গলি এলাকায় চশমা খালে পড়ে অটোরিকশাচালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।ওই বছরের ২৫ আগস্ট নগরের মুরাদপুরে চশমা খালে পা পিছলে পড়ে তলিয়ে যান সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদ।পরে তার লাশটিও পাওয়া যায়নি। ৬ ডিসেম্বর একই খালে তলিয়ে যায় শিশু মো. কামাল উদ্দিন।তিন দিন পর নগরের মির্জা খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এ ছাড়া ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর নগরের আগ্রাবাদের মাজার গেট এলাকায় ফুটপাত থেকে পা পিছলে নালায় পড়ে মৃত্যু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার।
৬ বছরে এ সব উন্মুক্ত নালা ও খালে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।এর মধ্যে দুইজনের খোঁজই মেলেনি( এই হিসাব ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত)।২০২১ সালেই মারা গেছেন ৪ জন।
একের পর এক খাল নালায় পড়েমৃত্যুর ঘটনায় চসিক নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার ৫ হাজার ৫২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে। যার মোট দৈর্ঘ্য ১৯ কিলোমিটার। তালিকা করলেও এ সব স্থান নিরাপদ করার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
Discussion about this post