চট্টগ্রাম,১০ জানুয়ারি, ২০২৩:
বৈশ্বিক সংকটে ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২০২২ সালের তুলনায় কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা কমেছে। ২০২ সালের তুলনায় এটা ৩ শতাংশ কমেছে। ২২ সালে পরিবহ হয়েছিল ৩১ লাখ ৩২ হাজার কনটেইনার। ২৩ সালে কনটেইনার পরিবহন হয় ৩০ লাখ ৫০ হাজার। কমেছে ৯১ হাজার কনটেইনার পরিবহন। এসব কন্টেইনারে শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনি যন্ত্রপাতি, বাণিজ্যিক পণ্য ইত্যাদি আনা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী বছরে বন্দর দিয়ে কনটেইনার (প্রতিটি ২০ ফুট লম্বা) পরিবহন হয়েছে ৩০ লাখ ৫০ হাজার। ২০২২ সালে পরিবহন হয় ৩১ লাখ ৩২ হাজার। সংখ্যার হিসাবে কমেছে প্রায় ৯১ হাজার কনটেইনার।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক সংবাদ মাধ্রমকে জানান, সমুদ্রপথের বাণিজ্য কমেছে বৈশ্বিক সঙ্কটে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকও পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে আমদানি কমায় কমেছেকনটেইনার পরিবহন। তবে বন্দরের সেবার মান বেড়েছে বলে তিনি জানান।
করোনার সময় থেকে কনটেইনার পরিবহন কমতে শুরু করে। ২০২০ সালে পরিবহন কমলেও ২১ সালে আবার বেড়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ডলার-সংকটে পণ্য আমদানি কমতে থাকে ২০২২ সালে। সেই থেকে কনটেইনার পরিবহন কমতে থাকে। যা ২০২৩ সালেও অব্যাহত থাকে।
বৈশ্বিক চাহিদা কমায় বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়া, দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ায় সেই প্রভাব পড়েছে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে।
Discussion about this post