চট্টগ্রাম, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪:
লাইনে গ্যাস না থাকায় চট্টগ্রামে বাসাবাড়িতে গ্যাসের চুলা জ্বলেনি। রান্নাবান্না না হওয়ায় হোটেল রেস্তোরাঁয় গিয়েও অনেকে খাবার কিনতে পারেনি। এক প্রকার ভাত না খেয়েই সারাদিন পার করেছে অনেক মানুষ। অনেকের শুকনো খাবার খেয়ে দিন গেছে।
আবার সড়কে ছিল যানবাহনের জন্য ব্যাপক ভোগান্তি। সিএনজিচালিত গাড়িগুলো গ্যাসের অভাবে সারাদিন বন্ধ ছিল। অর্থাৎ গ্যাসের সঙ্কটে ঘরে বাইিওে মানুষের কষ্টের সীমা-পরিসীমা ছিল না।
বাসাবাড়ি আর গাড়ির গ্যাস সরবরাহের কথা বাদ দিলেও গ্যাস সঙ্কটে পড়ে গ্যাস নির্ভর কলকারখানার উৎপাদনও বন্ধ হয়ে পড়েছে।
সবমিলে চট্টগ্রামে গ্যাসের অভাবে জনজীবনে হাহাকার নেমে আসে। হঠাৎ গ্যাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কিছুই জানায়নি গ্রাহকদের।
এ ব্যাপারে কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক মো. আমিনুর রহমান বলেন,
মহেশখালীর দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহ হচ্ছে না। সে কারণে এই সংকট। সংস্কার হয়ে আসা একটি টার্মিনাল কমিশনিং করতে গিয়ে সমস্যা হওয়ায় গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেটি থেকে সরবরাহ হলে চট্টগ্রামে গ্যাস পাওয়া যাবে।
তবে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
মহেশখালীতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে (এফএসআরইউ) কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। তবে কি ধরনের কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে সে সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি।
গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় তারা দুঃখ প্রকাশ করলেও কখন গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে তা বলতে পারেনি।
এমনিতেই গত কয়েক মাস ধরে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট চলছে। চট্টগ্রামে ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো চাহিদা রয়েছে আবাসিক ও শিল্পকারখানা খাতে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে গ্যাসের চাপ একেবারে কমে গেছে। আবাসিক গৃহস্থালীর গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রান্না করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। তার উপর কোনো ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ হয়ে পড়েছে পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ চট্টগ্রামের আবাসিক গ্রাহকরা। বলা যায় বাসাবাড়িতে চুলা জ্বালাতে না পেরে হাহাকার চলছে।
Discussion about this post