চট্টগ্রাম, ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর তীরে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ডাঙ্গার চর নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। আজ সকালে কর্ণফুলী নদীর তীরে এই তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন,চট্টগ্রাম বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।নৌ তদন্ত কেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তার পাশাপাশি বন্দর এলাকার নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে। সিএমপির সঙ্গে নৌ পুলিশের সমন্বয় থাকবে।।নদীর নিরাপত্তার জন্যও এই নৌ-তদন্ত কেন্দ্র ও নৌ-পুলিশ ফলপ্রসূভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
এসময় সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা সহ সিএমপির পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শাহ আমানত সেতু থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলের নিরাপত্তার জন্য চারটি নৌ তদন্ত কেন্দ্রের মধ্যে ডাঙ্গার চর নৌ তদন্ত কেন্দ্র একটি। যেটি আজ উদ্বোধন করা হয়েছে। ডাঙ্গার চর নতুন তদন্ত কেন্দ্রটির জন্য দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে ২ জন এসআই, চারজন এএসআই ত্রিশ জন কনস্টেবল সহ ৩৮ জনের জনবল কাজ করবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল সুবিধার জন্য কর্ণফুলীর উভয় তীরে চারটি নৌ তদন্ত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০০২ সালের সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এই চারটি নৌ তদন্ত কেন্দ্র হল- ডাঙ্গার চর, চাক্তাই, রাঙাদিয়া ও গুপ্তখাল নৌ তদন্ত কেন্দ্র। চারটি নৌ তদন্ত কেন্দ্রের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ডাঙ্গার চর ও চাক্তাই নৌ তদন্ত কেন্দ্রের জন্য ভূমি বরাদ্দ করে। নগরীর চাক্তাই এলাকায় মেরিনার্স সড়কের পাশে হবে চাক্তােই নৌ তদন্ত কেন্দ্রা রাঙাদিয়া ও গুপ্তখাল নৌ তদন্ত কেন্দ্রের ভূমি বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন আছে। ্র্যাএভাবে পর্যায়ক্রমে কর্ণফুলীর রাঙাদিয়া, চাক্তাই ও গুপ্তখাল এলাকায় বন্দরের জায়গায় আরও তিনটি নৌ-তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
নগর পুলিশ বলছে, কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা পর্যন্ত এলাকায় দস্যুতা, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কাজ করবে সিএমপির এসব নৌ তদন্ত কেন্দ্র। নিজেদের আওতাধীন এলাকায় নৌ তদন্ত কেন্দ্রগুলো টহলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
তারা জানায়,বিধি অনুযায়ী নৌ-পুলিশ নদীতে এবং তীরের ৫০ মিটার এলাকায় কাজ করে থাকে। আওতাধীন এলাকায় যে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজের ক্ষেত্রে নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হয়। নৌ-পুলিশ মামলাগুলোর তদন্ত করে। তবে আমাদের পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় অনেক সময় অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হয়। একই বাহিনীর অধীন হওয়ায় থানা এবং নৌ-পুলিশ সমন্বিতভাবে কাজ করবে।
Discussion about this post