চট্টগ্রাম, ২৮ অেকটোবর, ২০২৪:
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ও বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের যৌথ আয়োজনে “দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার আজ ২৮ এপ্রিল সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। চেম্বার প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বিশেষ অতিথিবৃন্দ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম ও কমিশনার অব কাস্টমস মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান, চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব, চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, কনফিডেন্স সিমেন্ট’র এমডি জহির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, বিএসআরএম’র সিনিয়র ম্যানেজার আলী মাহবুব হোসেন, শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশ’র পরিচালক লোকপ্রিয়া বড়–য়া, পর্যটন রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ফ্রোজেন মিট ইম্পোর্টার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এনায়েতুর রহমান, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক খান স্বপন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি সালামত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শীষ হায়দার চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মাহবুবুল হক মিয়া, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, ওমর মুক্তাদির, চেম্বারের প্রাক্তন পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী, চট্টগ্রাম ফ্রেশ ফ্রুটস ভেজিট্যাবলস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব রানা, বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনালের প্রাক্তন সভাপতি মোঃ টিপু সুলতান শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ করবে। ফলে আমাদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ আসবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখা, দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা করা এবং বিভিন্ন দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা কিভাবে লাভ করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ট্যারিফ কমিশন। এছাড়াও দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশী পণ্যের প্রসারে এফটিএ এবং পিটিএ ও ট্যাক্স টু জিডিপি রেশিও বাড়াতে কাজ করছে কমিশন। তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীতে আস্তে আস্তে কমে আসবে রপ্তানিমূখী খাতের প্রণোদনা। তাই এক্ষেত্রে সরকার উৎপাদনমূখী শিল্পগুলোকে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও গবেষণা খাতে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় তা নিয়েও কাজ করছে কমিশন। তিনি বলেন, দেশে বিভিন্ন সংকটকালে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে ভোগান্তি হয় সাধারণ জনগণের, ভাবমূর্তি নষ্ট হয় সরকারের। তাই কারসাজির মাধ্যমে কারা এসব বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তা উন্মোচন করতে ব্লক চেইন টেকনোলজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রীর সাথে বিষয়টি আলাপ-আলোচনা করে আমরা চট্টগ্রাম চেম্বারের সাথে এই বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
বিশেষ অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে আমদানি-রপ্তানি শুল্কহার কিরূপ হবে তা গবেষণার মাধ্যমে সরকারের কাছে তুলে ধরে ট্যারিফ কমিশন। দেশের যেকোন নতুন উদ্যোক্তা বা শিল্পের জন্য এবং চাহিদানুযায়ী আমদানি-রপ্তানি ভারসাম্য আনয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে ডাটা ব্যাংক। এক্ষেত্রে কমিশন চাইলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ও রপ্তানিমূখী উৎপাদনশীল শিল্পগুলোর ডাটা ব্যাংক তৈরি করতে পারে।
বিশেষ অতিথি কমিশনার অব কাস্টমস মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন দেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক জোন এবং হাইটেক পার্কে উৎপাদনমুখী শিল্পের এক ধরণের ট্যারিফ, আবার বাইরের এলাকাগুলোর শিল্পকারখানাগুলো এক ধরনের ট্যারিফ। ফলে দেশীয় শিল্পকারখানাগুলো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
অন্যান্য বক্তারা দেশের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য সকল খাতে উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামালের ট্যারিফ যৌক্তিককরণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ এবং যেসব পণ্যের আমদানি সংরক্ষিত আছে তা পর্যালোচনা করে সময়ে সময়ে আমদানি অনুমতি ও সংকটকালে আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কহার কমানোর বিষয়গুলো উত্থাপন করেন। বিজ্ঞপ্তি
Discussion about this post