দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডের মধ্যে আজ সকালে চট্টগ্রাম নগরীতে বৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য বৃষ্টির প্রস্তুতি শুরু হয় ভোররাত প্রায় চারটা থেকে। দমকা বাতাস সহ আকাশে মেঘের গর্জন শুরু হলে মানুষ বৃষ্টির আশা করে। ঠিক এর কয়েক ঘণ্টা পর টিপ টিপ বৃষ্টি শুরু হয়। থেকে থেমে এরকম বৃষ্টির মধ্যেই সকাল নয়টার দিকে একটু চেপে বৃষ্টি আসে। অবশ্য সাড়ে নয় টার পর বৃষ্টি থেমে যায়।
বৃষ্টির পর থেকে বেড়ে যায় ভ্যাপসা গরম। অথচ আকাশে মেঘের আনাগোনা। মেঘের আবডালে সূর্য লুকোচুরি করলেও গরম না কমে বরং বেড়েছে। ভ্যাপসা গরমে জনজীবন আরও অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। তাপমাত্রা প্রায় ৩৪ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ২৪ তারা ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এছাড়া কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোরে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশে এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।দেশের ইতিহাসে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর হচ্ছে যশোরে আজকের তাপমাত্রা। চলতি বছরে এর আগে চুয়াডাঙ্গা থেকে দেশের সব্বোর্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে ৩০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক সাত ডিগ্রি। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ২৯ এপ্রিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা , ২৮ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৭ এপ্রিল ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ২৬ এপ্রিল ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ২৫ এপ্রিল ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যদিও চট্টগ্রামে ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করেছে। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ছিল বেশি।
চট্টগ্রাম ছাড়াও আজ বৃষ্টি হয়েছে সমুদ্র শহর কক্সবাজারে। বৃহস্পতিবার রাত ২ টা ৩০ মিনিটে স্বল্প সময়ের জন্য শুরু হয় মাঝারি বৃষ্টি শুরু হলেও পরে সকাল ১১ টায় নামে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার পর বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দিল কক্সবাজার শহরের পিচঢালা পথ। এতে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতি ও কাল শুক্রবার কক্সবাজারে বৃষ্টি হতে পারে, সেইসাথে গরমের তীব্রতাও কমবে।
এছাড়া বজ্রপাতে রাঙামাটিতে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
Discussion about this post