চট্টগ্রাম, ৭ মে. ২০২৪:
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মহারণ শুরু হচ্ছে কাল বুধবার থেকে। প্রথম ধাপে চট্টগ্রাম অঞ্চলের চারটি জেলার ১৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। এরমধ্যে সন্দ্বীপ, মিরসরাই ও সীতাকুন্ডে নির্বাচন হচ্ছে আজ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ধাপে ২১মে চারটি, তৃতীয় ধাপে ২৯মে চারটি ও চতুর্থ ধাপে ৫জুন দুটি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন দল ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থী না থাকায় ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কা রয়েছে। যে কারণে সংঘাত ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়মের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী পূর্বদেশকে বলেন, ‘সব জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে যতটুকু জেনেছি পরিস্থিতি ভালোই আছে। পার্বত্য অঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় হেলিকপ্টারে মালামাল পৌঁছে গেছে। নির্বাচনে যথেষ্ট পরিমান পুলিশ, বিজিবিসহ প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্টের দায়িত্ব পালন করবেন। কিছু কিছু কেন্দ্রের নিরাপত্তায় যে পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকার কথা ছিল তার চেয়ে বেশি রাখা হয়েছে। আশা করছি কোন ধরনের সমস্যা হবে। বিশেষ কোন এলাকা নয়, সব এলাকায় ঘিরেই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
তফসিল অনুযায়ী প্রথম পর্বে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, মিরসরাই, সীতাকুন্ড, কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রাঙ্গামাটি সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি, বরকল, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি, রামগড়, মাটিরাঙ্গা, লক্ষ্মীছড়ি, বান্দরবান সদর, আলীকদমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলার ১৮টি পৌরসভার ও ১০৪টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে। ২০ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৫০ ভোটার ৭৪৩টি ভোটকেন্দ্রের চার হাজার ৬১৮টি কক্ষে ভোট প্রদান করবেন।
ভোটগ্রহণে তিন উপজেলায় ছয় হাজার ১৬৪জন প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা থাকবেন। সন্দ্বীপে আগেরদিন ও মিরসরাই ও সীতাকুন্ডে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছবে।
নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করা বেশিরভাগ প্রার্থীই আওয়ামী লীগ সমর্থিত।
নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন। কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করেন, কিছু কিছু প্রার্থী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন।
তবে ভোটের মাঠে কোন নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। গত ১৯এপ্রিল প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিসি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উপহার দেয়া হবে। কেউ জাল ভোট দিতে আসলে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর এজেন্টগণকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে।
Discussion about this post