চট্টগ্রাম,৩১ মে, ২০২৪:
জনগণের কাছে র্যাব একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমপি। তিনি চট্টগ্রামে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।
এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধীরা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং এসব আর করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমপি।
গতকাল ৩০ মে রাতেকক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউজে কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে ১২টা পর্যন্ত চলা এই মতবিনিময় সভায়, জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, এপিবিএনের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল পরিস্থিতি বর্ণনা করে বলেন, “মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের অস্থিরতার আঁচ এসে পড়ছে ক্যাম্পগুলোতে। সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, মিয়ানমার থেকে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আর এদিক থেকেও কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। এটা নিয়ে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
“রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে অস্ত্রের ঝনঝনানি। বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়েছে। যারা ক্যাম্পে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে। কিন্তু ক্যাম্পে এসব আর চলবে না। নিয়মিত ক্যাম্পে টহল চলবে। যেখানে এপিবিএন, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব একসঙ্গে যৌথ টহল দেবে। আর সবসময় প্রস্তুত সেনাবাহিনী। যখন জরুরি প্রয়োজন পড়ে তখন সেনাবাহিনীও কাজ করে।”
ক্যাম্পে থেকে রোহিঙ্গা যাতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়তে না পারে তার জন্য কেটে ফেলা কাঁটাতারের বেড়াগুলো সংস্কার ও দ্রুত মেরামতের নির্দেশনা দেন তিনি।
এর আগে গতকাল ৩০ মে দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় র্যাব–৭ কার্যালয়ে ¯^ivóªgš¿x Avmv`y¾vgvb Lvb Kvgv‡ji nv‡Z A¯¿ Rgv w`‡q GK bvix Rj`my¨ mn PÆMÖvg I K·evRv‡ii 12wU evwnbxi 50 Rb Rj`my¨ AvZ¥mgc©Y অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসা জলদস্যুদের ছাড় দেয়া হবে না। যে কোনো মূল্যে অপরাধীদের দমন করব। তারা যেন অপরাধ করার চিন্তাও না করে।
তিনি বলেন, জলদস্যুতা আপনাদের জীবনে কখনও শান্তি ফিরিয়ে আনবে না। আমরা খুব শিগগির সমস্ত নৌ অঞ্চল জলদস্যু ও ডাকাত মুক্ত ঘোষণা করব। আমরা কাউকে ক্ষমা প্রদর্শন করবো না। যারা এ পেশা ত্যাগ করবে না, তারা কী দুঃসংবাদ লিখে নিয়ে যাবেন সেটা মহান আল্লাহ জানেন। কাউকে ক্ষমা করা হবে না।
চট্টগ্রামেউপকূলীয় অঞ্চলের চিহ্নিত অস্ত্রের কারিগর ও জলদস্যুরা চতুর্থবারের মতো আত্মসমর্পণ করেছেন প্রশাসনের কাছে।
অনুষ্ঠানে র্যাবের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, জন্মলগ্ন থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে গিয়ে র্যাবের ৩৩ জন সদস্য জীবন দিয়েছেন। হাজার হাজার র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। অনেকের অঙ্গহানিও হয়েছে। জনগণের কাছে র্যাব একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক।
Discussion about this post