চট্টগ্রাম, ০৯ জুন, ২০২৪:
সাতকানিয়ায় জায়গার বিরোধে ফজল আহমদ (৫৫) নামে এক কৃষককে কোদাল দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল (রোববার) বিকালে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড তাঁতীপাড়া ফজল করিম মেম্বারের গরুর খামারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষক ফজল উল্লেখিত এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে। ঘটনার পরপর নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ একই ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড কুতুবপাড়ার মৃত সাঁচি মিয়ার ছেলে ঘাতক আবুল কাশেমকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল (রোববার) বিকালে নিহত ফজল গরুর খাবার আনার জন্য বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঘাতক কাশেম পার্শ্ববর্তী বিলে কাজ করছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিল থেকে উঠে কোদাল দিয়ে কাশেম ফজলকে উপর্যুপরি মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। মাথা থেকে তার মগজ বের হয়ে যায়।
নিহত ফজল আহমদের স্ত্রী রেহেনা আকতারের অভিযোগ, কাশেম ও তার ছেলে তৌহিদ মিলে আমার স্বামীকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তবে তাৎক্ষণিক কি কারণে মেরেছে তা তিনি জানেন না বলে জানান।
সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ফজল করিম বলেন, কিছুদিন আগেও কাশেম আরেক ব্যক্তিকে কোদাল দিয়ে কোপ মেরেছিল। কাসেম একসময় শহরে ব্যবসা করত। ব্যবসায় লোকসান দিয়ে বাড়ি চলে এসে আরেকটি বিয়ে করে। তবে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কাশেম যদি মানসিক রোগী হতো, তাহলে তার ঘরের কাউকে মারে না কেন ?
সোনাকানিয়া ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর কাশেমকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে-ফজল সুদে টাকা খাটায়। সে কাফের হয়ে গেছে। উপর থেকে আল্লাহর নির্দেশ এসেছে, তাই তাকে হত্যা করেছি ! এরকম কোন কাফেরকে হত্যার জন্য আল্লাহ আমাকে আবার নির্দেশ দিলে তাকেও মেরে ফেলা হবে। ঘটনার পর কাসেম ঘরেই ছিল, পালিয়ে যায়নি।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও সি) প্রিটন সরকার বলেন, কয়েক গণ্ডা জায়গা নিয়ে নিহত ফজল করিম ও কাশেমের মধ্যে বিরোধ ছিল। ফজল গরুর খাবারের জন্য বাজারে যাওয়ার সময় কাশেম কোদাল দিয়ে ফজলকে মাথায় উপর্যুপরি কোপ দিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ঘাতককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘাতক অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
Discussion about this post