চট্টগ্রাম, ২৮ আগস্ট,২০২৪:
নোয়াখালীতে গতকাল রাতের ভারি বৃষ্টিপাত ও ফেনীর উজান থেকে আসা পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত আরও সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ২১ লাখেরও বেশি মানুষ। প্রতিদিনই বাড়ছে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষের সংখ্যা। বাড়ছে সাপে কাটা ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে নোয়াখালীতে ১১৬ জনকে সাপে কেটেছে। বন্যার কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে কয়েক দিনের টানা ভারি ভর্ষণ ও ফেনীর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে এর আগেই তলিয়ে গেছে নোয়াখালীর ৮টি উপজেলার বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে সেখানে খেলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। বন্যা কবলিত এলাকায় পানিবন্দি অসহায় মানুষদের মাঝে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, রেসক্রিসেন্টসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শুকনো ও রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। তবে সবগুলো সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এবং পর্যাপ্ত নৌকা না থাকায় সহায়তা কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় ১৩শ ৩ টি আশ্রয়কেন্দ্র খেলা হয়েছে। কাজ করছে ১৫০টি মেডিকেল টিম। সেই সঙ্গে জরুরি সহায়তায় ইতোমধ্যে ৪৫ লাখ টাকা, ১৮০০ মেট্রিক টন, ৫লক্ষ টাকার শিশু ও ৫লক্ষ টাকার গো খাদ্য চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য, প্রাণীসম্পদ, কৃষি ও সড়ক-মহাসড়কের।
Discussion about this post