চট্টগ্রাম,২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪:
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে তিনি বাংলাদেশকে উদারনৈতিক, বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসাবে পরিচয় তুলে ধরেছেন। যে দেশটি ১৯৭১ সালে গণমানুষের যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা ২৪ মিনিটে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে বাংলায় এই ভাষণ প্রদান করেন। ৩৮ মিনিটের ভাষণে তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। বক্তৃতার শুরুতে তিনি বাংলাদেশের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে বলে ভাষণে বলেন। তিনি বলেন, তরুণ সমাজের অফুরান শক্তি আমাদের বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এরপর পরই তিনি বাংলাদেশের পরিচয় তুলে ধরে তিনি বলেন,
‘উদারনীতি, বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার উপর মানুষের গভীর বিশ্বাস থেকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হয়। ১৯৭১ সালে যে মূল্যবোধকে বুকে ধারণ করে আমাদের গণমানুষ যুদ্ধ করেছিল, সেই মূল্যবোধকে বহু বছর পরে আমাদের ‘জেনারেশন জি’ (প্রজন্ম জি) নতুনভাবে দেখতে শিখিয়েছে। এরকমটি আমরা দেখেছিলাম ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার সময়েও।
বাংলাদেশের এই ‘মুনসুন অভ্যুত্থান’ আগামী দিনগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষকে মুক্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াতে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে। আমাদের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে আমি তাই বিশ্ব সম্প্রদায়কে আমাদের নতুন বাংলাদেশের সাথে নতুনভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
Discussion about this post