চট্টগ্রাম, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪:
চিকিৎসদের সংগঠন ‘চট্টগ্রাম ডক্টরস একাডেমি’র উদ্যোগে ‘সেমিনার অন ডেঙ্গু আপডেট’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান আজ দুপুরে নগরের হোটেল দি পেনিনসুলায় আয়োজন করা হয়। ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার আবু তসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডাক্তার এম এ হাছান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাক্তার জসীম উদ্দিন, অধ্যাপক ডাক্তার আবদুর রউফ, অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন। এতে কি নোট স্পিকার ছিলেন অধ্যাপক ডাক্তার এ এ মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিন। তিনি ডেঙ্গু জ্বর নিরাময়ের চিকিৎসা সেবা পদ্ধতি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে তুলে ধরেন। বক্তব্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এম এ হাছান চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু একটি বহুরূপী জ্বর, শরীরের সব অর্গানের ক্ষতি করার সক্ষমতা আছে এই রোগের। জ্বর শেষ হবার পরও এটি আরো ভয়ঙ্কররূপে রোগীর ক্ষতি করতে পারে। জ্বর হলেই প্রথম দিন এন্টিজেন টেস্ট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরামর্শ দেন তিনি। এই সেমিনারে অর্ধ শতাধিক চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
চিকিৎসকগণ বলেন, ডেঙ্গু দিন দিন ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে অনেকের জীবন চলে গেছে। স্বচ্ছ পানিতেই ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। দেরি করলে রোগীর বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এজন্য ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। তাই দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছ পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। যার যার এলাকা ও বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। তবেই ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ সম্ভব। ডেঙ্গুর দুটি দিক আছে। একটি হচ্ছে প্রতিরোধ, আরেকটি চিকিৎসা। আমরা যদি প্রত্যেকে নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে সচেতন করতে পারি, তাহলে ডেঙ্গুর প্রতিরোধ সম্ভব। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।
তারা বলেন, বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। কেননা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মশা বেশি জন্মায়। কোন এলাকায় কোন ধরনের মশার উপদ্রব বেশি এবং এ মশার জন্য কোন ওষুধ কতটুকু ছিটাতে হবে, তা নির্ণয় করে ওই জায়গায় ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। যেন এসব জায়গায় নতুন করে মশা জন্মাতে না পারে। পাশাপাশি এডিস মশার লার্ভা জন্ম নেয় এমন জায়গাগুলো পরিস্কার রাখতে হবে।
সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের সহকারী বিপণন কর্মকর্তা সুরঞ্জিত বৈদ্য।
Discussion about this post