চট্টগ্রাম, ৬ এপ্রিল, ২০২২:
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক সমন্বয় সভা আজ দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয়। সভায় চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির পাশাপাশি আগামী বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরীতে যাতে জলাবদ্ধতা প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জহিরুল আলম দোভাষ। এছাড়া প্রকল্পের পরিচালক শাহ আলী, চসিক ও সিডিএ এর প্রধান প্রকৌশলী ও কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন। শাহ আলী বলেন, প্রকল্পের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ।এর মধ্যে ৭টি খালের কাজ শেষ। জুনে আরও ১১টি খালের কাজ শেষ হবে। এছাড়া আরও অনেক খালের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা সম্পন্ন কাজগুলো সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশনকে বুঝিয়ে দিতে চায়। ।জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শাহ আলী আরও বলেন, আসন্ন বর্ষার পূর্বে অর্থাৎ চলতি এপ্রিল মাস পর্যন্ত আমরা কাজ করতে পারবো। তিনি বলেন আমরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খালগুলোতে ১৭৬ কি.মিটারের মতো রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছি। জলাবদ্ধতা নিরসন কাজে এটা বড় অগ্রগতি বলা যায়। পাশাপাশি অনেক এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানও চালাতে হচ্ছে। পুরো প্রকল্পের কাজ সমানতালে করা সময় সাপেক্ষ। কারণ এখানে বহু প্রতিবন্ধকতা আছে। তবে এবছর নগরীর প্রবর্তক মোড়ে প্রতিবারের মতো জলাবদ্ধতা হবে না বলে আশা করা যায়। কারণ প্রিমিয়ার বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাস অপসারণসহ এর পিছনের খালের অবৈধ স্থাপনা সরানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বলেন, খাল ও নালাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের সার্মথ্য না থাকায় সিটি কর্পোরেশন এখন এসব রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে পারবে না। এজন্য সিডিএ যদি প্রকল্প থেকে একশ কোটি টাকা দেয় সেক্ষত্রে দায়িত্ব নেয়া সম্ভব হবে। না হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড বা আন্তঃমন্ত্রনালয় মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এছাড়া তিনি খালে ময়লা ফেলা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের সুফল পেতে হলে নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে আরো ৩টি প্রকল্প রয়েছে, সেগুলোর কাজও সম্পন্ন করতে হবে। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের চলমান চার বছরের কাজের মধ্যে এখনো দুই বছরের কাজ বাকি। এখনই শতভাগ ফলাফল পাবো এটা মনে হয় না। তিনি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংও প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
Discussion about this post