চট্টগ্রাম, ১২ এপ্রিল, ২০২২:
ভারতের মেঘালয়ে ব্যাপক বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ এলাকায় ঢলের পানির তোড়ে কিছু বাধ ভেঙ্গে হাওড়ে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অকাল বন্যায় কৃষকের এই ক্ষতি পোষাতে বোরো চাষিদের আউশ মৌসুমে প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কর্মসূচি নিয়েছি আউশে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য। হাওড়ে একটাই ফসল,ওখানে আমন ওইভাবে হয় না। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার চাষিদের জন্য এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতি মেটানোর জন্য অবশ্যই চাষিদের পাশে সরকার থাকবে। হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট এলাকায় যাতে আউশের উৎপাদন বাড়ানো যায় সেজন্য প্রণোদনা দেওয়া হবে।
মেঘালয়ে বৃষ্টি ও অতিরিক্ত পাহাড়ি ঢলে ইতিমধ্যে কিছু ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যেমন বোরো উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে তেমনি পর্যাপ্ত ফসল না পাওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন সঙ্কটে। হাওড় এলাকা থেকে প্রতিবছর ১২ লাখ টন বোরো উৎপাদন হয়। আর বোরো মৌসুমে সারা দেশে ২ কোটি টন ধান উৎপাদন হয়। মাসের শুরুতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে খুব বেশি বৃষ্টি না হলেও ভারতের মেঘালয়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে নদনদী উপচে হাওরের বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ কৃষিভূমি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- শিল্প ন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাইকৃষ্ণ হাজরা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, হাওরে ১২ লাখ টন বোরো উৎপাদন হয়। তবে এখনও কি পরিমাণ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে সেটা নির্ধারণ করা হয়নি বলে তিনি জানান। তবে হেক্টর প্রতি বোরো ধানের গড় ফলন এবং গত বছরের সরকার নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের হিসেবে ডুবে যাওয়া হাওরে ধানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার বলে সংবাদ মাধ্যম খবরে জানিয়েছিল।
গত ১ এপ্রিল থেকে পাহাড়ি ঢলের প্রথম ধাক্কায় সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ ও সিলেট এই চার জেলায় ডুবেছে ৭ হাজার ৮৩ হেক্টর বোরো ক্ষেত। যার মধ্যে কেবলমাত্র সুনামগঞ্জ জেলাতেই ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর ফসলের খেত প্লাবিত হয়েছে। সূত্র: সংবাদ মাধ্যম, ছবি: সংগ্রহ করা।