চট্টগ্রাম, ২১ মে, ২০২২:
চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে আজ সকালে ভারী বৃষ্টিপাতে জনজীবনের হঠাৎ ছন্দপতন হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার এই বৃষ্টিতে নগরীর নিম্নাঞ্চলে পানি উঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তবে বৃষ্টির পর পরই পানি নেমে যায়। বৃষ্টি চলাকালীন জলাবদ্ধতার কারণে নগরের কোথা কোথাও যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়।পথচারী চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়।
নগরীর দুই নম্বর গেটে মোহাম্মদ ইউনুচ নামে এক চাকরিজীবী বলেন, বের হয়েছি কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য। বাসা থেকে বের হতে হয়েছে হাঁটুপানিতে। এখন দুই নম্বর গেট পর্যন্ত বাসে আসার পর পানিতে গাড়ি আটকে গেছে। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। অফিসে কতক্ষণে পৌঁছতে পারি জানিনা।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আজ চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫ মিলিমিটার ও ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরও ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছেন তারা
বিশেষ করে নগরের নাসিরাবাদ দুই নম্বর গেট, জঙ্গী শাহ মাজার গেইট, বড় গ্যারেজ, চকবাজার, বাকলিয়া ডিসি রোড সহ আগ্রাবাদ, হালিশহর এলাকার নিম্নাঞ্চলে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তবে বেশিরভাগ এলাকার জলাবদ্ধতা বৃষ্টির পর পরই পানি নেমে যায়।
এদিকে কোথাও কোথাও নগরের উড়াল সড়কের পানি চলাচলের পথ আটকে সেখানেও পানি জমেছে।
জলাবদ্ধ এলাকার বাসিন্দারা জানান, নগরীর নালা ও ড্রেন পরিষ্কার না করায় পানি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
এছাড়া সিডিএ’র জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলায় কোথা কোথাও খাল মাটিতে ভরাট থাকায় এবং খালে বাঁধ দেওয়ায় বৃষ্টির পানি আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রামের নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলছে।
এরমধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হচ্ছে সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প। এটির তত্ত্বাবধানে ৩৬ টি খালের মধ্যে ১০টি খালের রিটেনিং ওয়ালের কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৬ শতাংশ বলে প্রকল্প পরিচালক শাহ আলী সম্প্রতি সার্কিট হাউজে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সাথে এক সভায় উল্লেখ করেছিলেন। তিনি ভূমি অধিগ্রহণ আটকে থাকায় বেশকিছু জায়গায় কাজ আটকে আছে বলে জানিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি বলেছিলেন, যদি নালা ও ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা না হয় তাহলে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের সুফল বেশি কার্যকরী হবে না বলে মতামত দিয়েছিলেন।