চট্টগ্রাম, ২৩ জুলাই, ২০২২:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মূলহোতা সহ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র ঘটনার সাথে জড়িত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে আজ ২৩ জুলাই র্যাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোঃ আজিম(২৩) পিতা,মোঃ আমির হোসেন, সাং-চর ভারত সেন,থানা-হাতিয়া, জেলা-নোয়াখালী (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগ ২য় বর্ষের ছাত্র), ২। মোঃ নুর হোসেন শাওন(২২), পিতা-জাবেদ হোসেন, সাং-ফতেহপুর, ওয়ার্ড নং ৩, ফতেপুর ইউপি, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম,(হাটহাজারী কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র), ৩। মোঃ নুরুল আবছার বাবু (২২),পিতা-বেলায়েত হোসেন, সাং-বেড়াবাড়ি, থানা-পশুরাম,জেলা-ফেনী, (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ ২য় বর্ষের ছাত্র) এবং ৪। মোঃ মাসুদ রানা মাসুদ (২২),পিতা-আঃ মান্নান, সাং- আশিয়ার, থানি+জেলা-ঝালকাঠি, (হাটহাজারী কলেজের অর্নাস এর ২য় বর্ষের ছাত্র) ।
র্যাব জানায়, ভিকটিম চবির ছাত্রী
গত ১৭ জুলাই রাত ৯.৩০ টার দিকে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে তার বন্ধুকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা হয়ে প্রীতিলতা হল সংলগ্ন রাস্তায় যাওয়ার পথে রাত আনুমানিক ১০.১৫ টায় অজ্ঞাতনামা ৫ জন লোক বেআইনিভাবে তাদের পথরোধ করে জেরা করতে থাকে এবং অহেতুক মারধর করতে থাকে। তখন ভুক্তভোগী বাধা প্রদান করলে তারা এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মেরে আহত করে।
মারধরের একপর্যায়ে আসামিরা ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুকে জোরপূর্বক বেগম ফজিলাতুন নেছা হলের পিছনে ইটের রাস্তা দিয়ে ঝোঁপঝাড়ের দিকে মারধর করতে করতে নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞেস করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সেশনে এবং কোন বিভাগে পড়াশুনা করেন। মারধরের একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে শ্লীলতাহানি করে ও অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। আসামিদের একজন হুমকি প্রদান করে বলে যে, তার সাহিত শারীরিক সম্পর্ক না করলে ধারণকৃত ভিডিও ভাইরাল করে দিবে। অজ্ঞাতনামা আসামিরা অবৈধভাবে একঘন্টা আটক করে রেখে ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুর ২টি মোবাইল সেট ও নগদ ১৩৭০০ টাকা আত্মসাত করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ভিকটিম বাদি হয়ে গত ২০ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারি এবং ব্যাপক তৎপরতা অব্যাহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল ২২ জুলাই রাতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল হাটহাজারী ও রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাব গ্রেপ্তারকৃতদের হাটহাজারি থানায় হস্তান্তর করেছে।
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের মূল হোতা আজিম বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
Discussion about this post