চট্টগ্রাম, ২৩ জুলাই, ২০২২:
এবার গবাদিপশুর চিকিৎসায় বাড়ি বাড়ি যাবেন পশু চিকিৎসকও। এজন্য চালু করা হচ্ছে ‘মোবাইল ভেটেরিনরি ক্লিনিক’। এতে প্রত্যন্ত এলাকার গৃহপালিত ও গবাদিপশুর খামারে গরু-মহিষসহ প্রাণী মৃত্যুর ঝুঁকি কমবে। এই উদ্দেশ্যেই সরকারের ভেটেরিনারি ক্লিনিকের যাত্রা।
এজন্য চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় দেয়া হয়েছে মোবাইল ক্লিনিকের গাড়ি। যে গাড়ির সামনের অংশে ভেটেরেনারি সার্জন বসবেন। পেছনের অংশে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও ওষুধ থাকবে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অত্যন্ত প্রান্তিক অঞ্চলে এ চিকিৎসা পৌঁছে দেয়া হবে। ভেটেরিনারি ক্লিনিক প্রকল্পের আওতায় দেয়া হয়েছে এসব আধুনিক গাড়ি। ৬০ লক্ষ টাকা প্রতিটি গাড়ির মূল্য।
তাই এখন থেকে কোন প্রাণি অসুস্থ হওয়ামাত্র ভেটেরিনারি অফিসে খবর পাঠালেই মোবাইল ক্লিনিক হাজির হবে। তবে অসুস্থ প্রাণির বাড়িতে গাড়ি পৌঁছানোর মতো সড়ক থাকলে এ প্রকল্পের সুফল একদম প্রান্তিক গ্রামের মানুষের গবাদিপশুর জন্যও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রান্তিক অঞ্চলে গরু-মহিষসহ গবাদিপশুর মৃত্যুর কমবে বলে আশা করছেন ভেটেরিনারি খাতে যুক্ত চিকিৎসক ও খামারিরা।
ঢাকা থেকে এসব গাড়ি ইতোমধ্যে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। যে উপজেলায় আটটি ইউনিয়ন আছে এসব উপজেলাকে গুরুত্ব দিয়ে এ ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।
জেলা প্রাণীসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার মধ্যে মাসখানেক আগে ফটিকছড়ি উপজেলায় প্রাথমিকভাবে এ মোবাইল ক্লিনিকের সূচনা হয়। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী উপজেলা ছাড়া বাকি ১৩টি উপজেলায় এ ক্লিনিকের গাড়ি প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, অনেক গবাদিপশু আছে ডেলিভারি সমস্যায় ভুগছে। কিন্তু ওজন ও প্রান্তিক এলাকার কারণে সদরের হাসপাতালে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা সেই গবাদিপশু যেখানে আছে সেখানে গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসবে চিকিৎসকরা। এজন্যই মোবাইল ভেটেরেনারি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলায় দেয়া হয়েছে অত্যাধুনিক গাড়ি। যে গাড়িতে চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধ থাকবে। সরকারের অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে এটিও একটি ভালো উদ্যোগ।
জানা গেছে, উপজেলায় গবাদিপশু বেশি এবং ৫০ হাজারের অধিক লিটার দুগ্ধ উৎপাদন হয় সেখানেও এ ক্লিনিক স্থাপন করা হবে।
Discussion about this post